দেশ ব্রেকিং নিউজ

মুখ্যমন্ত্রী থেকে সরছেন বিপ্লব!‌

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত ত্রিপুরা বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন রাজ্যের বিজেপি’‌র কর্মী–সমর্থকরা। আগরতলায় মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিপ্লব দেবকে হঠানোর স্লোগান উঠেছিল। তার পরই বিপ্লব দেব জনতার দরবারে হাজির। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার অধিকার তাঁর আছে কি না তা বিচার করবে জনতা। তিনি জনগণের মত নেবেন। তাও প্রকাশ্যে।
মর্মাহত বিপ্লব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যবাসী না চাইলে তিনি আর মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকবেন না। ১৩ ডিসেম্বর আগরতলার বিবেকানন্দ ময়দানে বিপ্লব দেব জনগণের মত নেবেন। দুপুর ২টো নাগাদ তিনি সেখানে হাজির হবেন। তার পর উপস্থিত জনগণের কাছে জানতে চাইবেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর উপর সবার আস্থা ও ভরসা আছে কি না! জনগণ কী বলে, তার উপর নির্ভর করবে তাঁর ভবিষ্যত।
কিন্তু আচমকা এমন পরিস্থিতি তৈরি হল কেন? জানা গিয়েছে, দু’দিন আগেই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে ত্রিপুরায় এসেছেন বিনোদ সোনকার। তাঁর সামনেই দলের কর্মী–সমর্থকদের একটা বড় অংশ আওয়াজ তোলেন, ‘বিপ্লব হটাও, বিজেপি বাঁচাও’। দলের অন্দরে বিপ্লবকে নিয়ে যে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সেদিন তা প্রকাশ্যে চলে আসে।
বিপ্লব দেব এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করবেন না। রাজ্যে মাদক সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধেও তাঁর লড়াই জারি থাকবে। বাম জমানার অবসান ঘটানোর পর নির্দিষ্ট নীতি নিয়ে চলছে তাঁর সরকার। তবে হাজার সমস্যার মধ্যে দিয়ে তিনি পথ খুঁজে নিয়েছেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ত্রিপুরায় উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। তবে দলে তাঁর বিরোধীদের স্লোগানে তিনি কষ্ট পেয়েছেন। তাই এবার তিনি জনতার দরবারে যাবেন।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি। সোনকার তৎক্ষণাৎ ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েন। তিনি দাবি করেন, দীর্ঘদিন পর রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক নিয়োগ হল। তাই দলীয় কর্মীরা নিজেদের কথা বলতে এসেছিলেন।