দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের ব্রার স্কোয়্যারে সস্ত্রীক শেষকৃত্য সম্পন্ন হল কপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো দেশের প্রথম সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের। ১৭ তোপধ্বনিতে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁকে।
বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ুর সুলুরে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানঘাঁটি থেকে বিকেল ৪টায় C-130J বিমান সিডিএস বিপিন রাওয়াত এবং তাঁর স্ত্রী মধুলিকা সহ ১১ জনের মৃতদেহ নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়। রাত ৮টা নাগাদ রাজধানীর পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছায়। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত-সহ বাকি ১২ জনের মরদেহে শেষশ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শুক্রবার সকাল থেকে প্রয়াত বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রীর মরদেহ শায়িত ছিল তাঁদের বাসভবনে। শেষ শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে, নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার ও বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী সহ বিশিষ্টজনেরা। মা-বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান দুই মেয়ে কৃতিকা এবং তারিনী। ‘দাদু’ রাওয়াতের মৃতদেহে ফুল দেয় ছোট্ট নাতিও।
এরপর তাদের বাসভবন থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ব্রার স্কোয়্যারে। ভারত মাতার বীর সন্তানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। স্লোগান ওঠে ‘যব তক সুরজ চাঁদ রহেগা, বিপিন জি কা নাম রহেগা।’ শেষ শ্রদ্ধায় শামিল ছিলেন ৮০০ সেনা। ১৭ গান স্যালুটের মধ্য দিয়ে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শ্রদ্ধা জানিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।