জল্পনা এবং গুঞ্জন তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত তা নিয়ে আলোচনাই হল না। বৈঠকে স্রেফ সাইড হয়ে গেল বিমল গুরুং ইস্যু। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী–মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক সেরে সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবিই করলেন জিটিএ প্রেসিডেন্ট বিনয় তামাং। তিনি জানান, নবান্নে স্রেফ জিটিএ নিয়েই কথা হয়েছে। যা বেশ সদর্থক। বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের আরও দাবি, ‘কে গুরুং? সিলেবাসেই নেই। গুরুং চ্যাপ্টার ক্লোজড পাহাড়ে।’
মঙ্গলবারও দার্জিলিংয়ে বিমল বিরোধী বিশাল মিছিল হয়। তখন নবান্নের সভাঘরে বৈঠক চলছিল মুখ্যমন্ত্রী ও বিনয় তামাংয়ের সঙ্গে। এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ নবান্নে যান বিনয় তামাং, অনীত থাপারা। বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁরা সোমবারই চলে এসেছিলেন কলকাতায়। এদিন সকালেও বিনয় তামাং সুর চড়িয়েছিলেন গুরুংয়ের বিরুদ্ধে। আর বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, জিটিএ’র প্রধান সচিব সুরেন্দ্র গুপ্তার সঙ্গে প্রায় মিনিট কুড়ির বৈঠক হয় বিনয়, অনীতদের।
সাংবাদিক বৈঠকে বিনয় তামাং বললেন, ‘দেখছেন তো পাহাড়ে রোজ কত মানুষ গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মিছিল করছে। তাঁরা আর বিমল গুরুংকে চায় না। গত তিন বছর ধরে পাহাড় শান্ত আছে। এই শান্তি জারি থাকুক, এটাই সবাই চান। গুরুং পালিয়ে বেড়ানো মানুষ। তাঁর কী–ই বা গুরুত্ব। পাহাড়ে গুরুং অধ্যায় শেষ। আমরা গুরুংয়ের বিপরীত পথে হেঁটেই শান্তি বজায় রাখব।’
