জেলা

বিনয়–বিমলের টার্গেট বিজেপি

এখন ফের প্রকাশ্যে এসে গিয়েছেন বিমল গুরুং। এখনও পাহাড়ে উঠতে না পারলেও সমতলে একাধিক সভা করছেন তিনি। আর বিমল গুরুং আত্মপ্রকাশ করায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তাঁর চরম বিরোধী বিনয় তামাংও। নির্বাচনের আর বাকি মাত্র ৬ মাস। তার মধ্যে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে পাহাড় ও ডুয়ার্সকে। সুকনায় বিনয়পন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জনসভা থেকে রাজ্য এবং কেন্দ্রকে বকলমে হুঁশিয়ারি দিলেন বিনয় তামাং। দার্জিলিং–সহ ডুয়ার্সের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিয়ে ভাববার জন্য কেন্দ্র–রাজ্যকে বললেন বিনয় তামাং। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় এবং ডুয়ার্সের বাসিন্দাদের দফায় দফায় যে উন্নয়নের কথা দিয়েছেন, তা পূরণ করতে হবে বলে জানান তিনি।
উত্তরবঙ্গের সমতলের দুই প্রান্তে দু’টি সভা করেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই গোষ্ঠীর দুই নেতা। দু’জনেরই টার্গেট কিন্তু কেন্দ্রের শাসক বিজেপি। সব মিলিয়ে পাহাড়ের রাজনীতি ফের নতুন করে নাটক তৈরি করছে। শিলিগুড়ির অদূরে সুকনায় জনসভা করলেন বিনয় তামাং–অনীত থাপা। বিমল গুরংকে টেক্কা দিতে এদিন শিলিগুড়ির সুকনায় বিনয়ের জনসভাতেও দেখা গেল ভিড়, মানুষের ঢল। এক সপ্তাহ আগেই শিলিগুড়ির গান্ধী ময়দানে জনসভা করেন বিমল গুরং। সাড়ে ৩ বছর পর ফের পাহাড়ে সভা করেন গুরুং। সেই সভায় বিমলপন্থী মোর্চা সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। আজও ফের জনসভা করবেন গুরং। ডুয়ার্সের বীরপাড়াতে সভা করবেন তিনি। এরপর ২০ তারিখ দার্জিলিংয়ে সভা করবেন গুরং।
বিনয়ের হুঁশিয়ারি, আপনাদের সময় দিচ্ছি। তার মধ্যে সমাধান করুন। নইলে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ডুয়ার্স ও পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠাব। আর বীরপাড়ার সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার বার্তা দেন বিমল গুরুং। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা জানান।
এই পরিস্থিতিতে কার্শিয়ংয়ে রোশন গিরির জনসভার পরই কার্শিয়ংয়ে জনসভার ডাক দিয়েছিলেন অনীত থাপা। সেদিনই জানানো হয় যে আগামীতে শিলিগুড়িতে জনসভার ডাক দিচ্ছে বিনয় শিবির। এদিন শিলিগুড়ির সুকনাতে বিনয়–অনীত জনসভা উপলক্ষ্যে বেশ কয়েকদিন ধরেই তোড়জোড় লক্ষ্য করা যায়। এই সভায় সকল সমর্থকদের হাজির থাকতে আহ্বান জানানো হয়। বিমল গুরুং বলেন, ‘‌পঞ্চায়েতে বিজেপিকে জেতালাম, বিধানসভায় জেতালাম, লোকসভায় জেতালাম। কিন্তু আমাদের কথা দিয়েও কথা রাখেনি বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ বলেছিলেন আমাদের সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু সাড়ে তিন বছরে কিছুই করেননি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়ে রাখতে জানেন। তাই তাঁর হাত ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই চালাব।’‌