জিটিএ নির্বাচনের আগে পাহাড়ে তৃণমূলের শক্তি আরো জোরদার হল। তৃণমূলে যোগ দিলেন বিনয় তামাঙ্গ, রোহিত শর্মা। তৃণমূলের দাবি, বিনয় তামাঙ্গ আজ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পাহাড়ের রাজনীতি অন্যদিকে বাঁক নেবে।
বিমল গুরুঙ্গ ফেরার পর পাহাড়ে কিছুটা একপেশে হয়ে পড়েন বিনয় তামাঙ্গ। ২০০৭ সালে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জন্মলগ্নে একসঙ্গে ছিলেন বিমল গুরুঙ্গ ও বিনয় তামাঙ্গ। ১০ বছর একসঙ্গে পথ চলার পর ২০১৭-তে এই দুই নেতার মধ্যে সম্পর্কে চিড় ধরে। গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে ফের আন্দোলনে নামেন বিমল গুরুঙ্গ। তখন তৈরি হয় গুরুঙ্গ শিবির ও তামাঙ্গ শিবির।
এবারের বিধানসভা ভোটে দুই শিবিরই আলাদা করে প্রার্থী দেয় পাহাড়ে। গুরুঙ্গ শিবিরের ঝুলি খালি থাকলেও, কালিম্পং আসনে জয়ী হন তামাঙ্গপন্থী প্রার্থী। এরপর জুলাইয়ে আচমকা দল ছাড়ার ঘোষণা করেন বিনয়। এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন খোদ বিনয় তামাঙ্গই। তিনি বলেন, ‘ভোটে হারের জন্য দল ছাড়লাম। ২০১৯ থেকে ষড়যন্ত্র চলছে আমাকে রাজনীতি থেকে হঠানোর জন্য।’
দলের সভাপতি পদ তো বটেই, প্রাথমিক সদস্যপদও ছাড়েন বিনয়। ফলে পাহাড়ের রাজনীতিতে বিনয়পন্থী মোর্চা বলে আর কিছু নেই। এরপর অগাস্টে বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে বৈঠক করেন বিনয় তামাঙ্গ। বিনয় দল ছাড়ার পর মোর্চার নতুন সভাপতি হন অনীত থাপা। বিনয়-পন্থী মোর্চার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অনীত। কার্শিয়ঙে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে বিনয়ের তৃণমূল যোগদানে পাহাড়ে তৃণমূল আরও বেশি সক্রিয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
