কয়লা পাচারে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রকে সোমবার নিজাম প্যালেসের সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তাতে উল্লেখ ছিল, ৪ জানুয়ারি দুপুরের মধ্যে সিবিআই তদন্তকারীদের সামনে হাজির হতে হবে। কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। কিন্তু দুপুর গড়ালেও গরহাজির বিনয় মিশ্র। তাঁর বিরুদ্ধে এখন নতুন করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন সিবিআই কর্তারা।
গত ৩১ ডিসেম্বর তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শেষে রাসবিহারীর বাড়িতে হাজিরার নোটিস ঝোলায় সিবিআই। কয়লাকাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের রেডারে অন্যতম অভিযুক্ত গনেশ বাগাড়িয়া। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহেই দেশে ফিরেছেন তিনি। শীঘ্রই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে পারে বলেই খবর। দীর্ঘদিন ধরেই বাগাড়িয়াকে খুঁজছিল সিবিআই। তবে তাঁর খোঁজ মেলেনি। তবে তৃতীয় হাজিরার নোটিসের পর উত্তর দিয়ে বাগাড়িয়া জানায় যে, চিকিৎসার জন্য দুবাইতে রয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহেই ফিরেছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, বিনয় নাকি দুবাইয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। এবার তাঁকে নাগালে আনতে সিবিআই কী কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার। কিছুদিন আগে গনেশ বাগাড়িয়ার লেকটাউনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। এক্ষেত্রে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে সিবিআই। কয়লা ও গরু পাচারের টাকার সরাসরি গনেশ বাগারিয়ার কাছে এসেই পৌঁছত বলে খবর। ফলে জেরায় একাধিক ক্লু মিলতে পারে বলেই মনে করছে সিবিআই। গরু ও কয়লা পাচার চক্রের অন্যতম কিংপিন বিনয় মিশ্রের খোঁজে মরিয়া সিবিআই।
কয়লাকাণ্ডে যুক্ত বিনয় মিশ্রর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের কাছে টাকা পৌঁছে যেত বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। তাই বিনয় ও গণেশের যোগসূত্র সম্পর্কে নিশ্চিত তদন্তকারী আধিকারিকরা। দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই উভয়কে নাগালে আনতে চাইছে সিবিআই।
