যে বিমান বসুকে মুখে মাস্ক না থাকার জন্য নিজের চিন্তার কথা জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার সেই বিমান বসুই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে স্টেপ আউট করে খেললেন। আমফান দূর্নীতি, করোনাভাইরাস বিতর্ক–সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ছক্কা হাঁকালেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু’র অভিযোগ, “কোভিড নিয়ে সচেতনতা প্রচার ঠিকমতো হয়নি। ১২০ দিন পরও একই অবস্থা। ক্রেতা বিক্রেতারা মাস্ক পড়ছে না। মোটরবাইকে করে যাচ্ছে যাঁরা মুখে তাঁরা মাস্ক পড়ছেন না। অদ্ভুত অজুহাত দিচ্ছেন মানুষ।”
এরপরই বিমান বসুর তোপ, স্বাস্থ্যভবন হচ্ছে একটা সাজানো ভবন। কেউ ফোন ধরে না। কাজও হয় না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেই। উনি বলছেন করোনাকে পাশবালিশ করে শুতে। তেমনই কেন্দ্রও। তবে এ তো কলির সন্ধ্যে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মহামারি। অতিমারিকে পরাস্ত করতে হবে। কোন কোভিড হাসপাতালে যাবে, মানুষজন জানে না। এতগুলি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে জায়গা নেই। করোনা স্পেশাল হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ তার পরীক্ষাগার কি কাজ করছে? এত বেড, এত পরিষেবা কোথায়?
কেন্দ্রকেও একহাত নিয়ে বিমান বসু জানান, রাষ্ট্রের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। কেন্দ্র বাণিজ্য ছাড়া কিছুই বোঝে না। ওদের মন্ত্রীরা ব্যবসা করতো তাই ব্যবসা ছাড়া কিছুই বোঝে না। অমানবিক, অনৈতিক কাজ। রাজ্যের আপত্তি করা উচিত। প্রিভেনটিভ মেটিরিয়েলের ওপর জিএসটি বসানো যাবেনা। রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা তথা কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল মান্নানের কটাক্ষ, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে অসত্য ভাষণ করেছেন, সে জন্য তাঁর সরকারেরই তাঁকে ‘বঙ্গরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করুক।’
