লম্বা সময়টা কেটে গিয়েছে। সাড়ে ৩ বছর পর ঘরে ফিরছেন বিমল গুরুং। ইতিমধ্যেই সোনাদা পৌঁছে গিয়েছেন বিমল গুরং। বেলা দেড়টা নাগাজ দার্জিলিংয়ে পৌঁছবেন তিনি। পাহাড়ে পৌঁছে দার্জিলিং মোটর স্টেশনে একটি জনসভায় যোগ দেবেন বিমল গুরং। এরপর আজ দার্জিলিংয়ে বাড়ি ফিরবেন তিনি বলেই সূত্রের খবর। পাহাড়ের উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিকে হটাতে আগামী দিনে তৃণমূলের হাত ধরেই হাঁটতে চান মোর্চা নেতা। তবে তাঁর আবার ফিরে আসাকে ভাল চোখে দেখছেন না অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে সাড়ে তিন বছর পর রবিবার দার্জিলিংয়ের মোটরস্ট্যান্ডে সভা করবেন গুরুং। কিন্তু তার আগেই আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতা রাজেশ লাকরা রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁকে।
বিমল গুরুংয়ের জনসভা নিয়ে পাহাড়ে মোর্চা সমর্থকদের মধ্যে তুঙ্গে উঠেছে উদ্দীপনা। গুরুংয়ের অপেক্ষায় সকাল থেকেই কার্শিয়ংয়ে ভিড় জমাতে শুরু করেন সমর্থকরা। এরপর গুরুং কার্শিয়ংয়ে পৌঁছতেই তাঁদের উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙে। তাঁর সমর্থনে স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। স্লোগান ওঠে, ‘বিমল জিন্দাবাদ, ফিরে এসেছেন গুরং।’ কিন্তু রাজেশ লাকরা বলেন, ‘গুরুং যদি সভা করে, তাহলে আগুন জ্বলবে।’
রবিবার আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতারা একটি সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন। সেই মঞ্চ থেকে গুরুংয়ের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়ানোর আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। শুধু কার্শিয়াং নয়, দার্জিলিংয়ের পথে ১৫টি জায়গায় ভিড় জমিয়েছেন মোর্চা সমর্থকরা। সাড়ে ৩ বছরেরও বেশি সময় পর গুরং ফিরছেন পাহাড়ে। তাঁকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষায় গুরুংপন্থী মোর্চা সমর্থকরা। পাহাড়ি নিজস্ব পোষাকে সেজেছেন সবাই। বাজানো হচ্ছে নেপালি বাদ্যযন্ত্রও। পাহাড়ে ওঠার মুখে পঞ্চনই দলীয় দপ্তরে বৈঠক করেন বিমল গুরুং। রবিবার শালবাড়ি থেকে পাহাড়ে উঠছেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনও অবনতি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বর্তমানে জিটিএ থাকায় প্রশাসনিক সমস্ত ক্ষমতা বিনয় তামাং এবং অনীত থাপার করায়াত্ব। তামাং ভালভাবে নিচ্ছেন না গুরুংকে।
