দাক্ষায়নী চার বছর আগেই বিদায় নিয়েছিল, এবার শেষ ঘুমে ঘুমিয়ে পড়ল বিজুলি প্রসাদ। এক এক করে ভারতের প্রাচীনতম দুই হাতি বিদায় নিল। ৮৯ বছর বছর বয়সে মারা গিয়েছিল কেরালার প্রবীণা হস্তিনী দাক্ষায়নী। এবার ঠিক একই বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করল আসামের বিজুলি প্রসাদ। এশিয়াটিক হাতির প্রাচীনতম সদস্যের সম্পর্কে জানানো হয়েছে,আসামের শোনিতপুর জেলার বিহালি চা বাগানে গজরাজটি মারা যায়।আসামের চা বাগানে বসবাসকারী বিশ্বের প্রাচীনতম এশিয়াটিক হাতি বিজুলি প্রসাদের রাজকীয় জীবনের অবসানে তাকে রাজকীয় ভাবেই বিদায় জানানো হয়েছে। বিজুলি প্রসাদ বয়সজনিত (৮২) সমস্যার কারণেই উইলিয়ামসন মাগর গ্রুপের বেহালি চা বাগানে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে।
প্রসাদের নামকরণ করেছিলেন তার একদা প্রভু ইংল্যান্ডের অলিভার সাহেব। জাম্বোর সাথে যারা চিনত, যার মধ্যে রয়েছেন পশুপ্রেমীরা, চা বাগানের শ্রমিকরা বা স্থানীয়রা রাজকীয় জাম্বোর মৃত্যুতে শোক জানাতে জড় হয়েছিল। সোমবার দিনভর চলেছে শোক।
জানা গেছে, প্রচন্ড শক্তির জন্য বিখ্যাত বিজুলি প্রসাদ পুরানো চায়ের ঝোপ টেনে আনত এবং অনায়াসে জঙ্গল এলাকা পরিষ্কার করত। অতীতে একবার হাতির দাঁতের জন্য তার ওপরে হামলা হলে সে দুষ্কৃতীদের পাল্টা আক্রমণ করেছিল। ফুলে মোড়া, বিজুলি প্রসাদকে একজন পুরোহিতের মন্ত্রে হিন্দু আচার সহকারে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করা হয়।