বিহারের জঙ্গলরাজ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে উন্নয়ন করা হয়েছে বলে জনসভায় বারবার সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু ভোটের ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পর দেখা গেল বিহার রয়েছে বিহারেই! এবারের বিধানসভা ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দুই তৃতীয়াংশের বিরুদ্ধেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা। যা শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব।
খুন, অপহরণ থেকে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে একাধিক বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও তলানিতে। তবে তাঁদের ট্যাঁকের জোর মারাত্মক। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের (এডিআর) রিপোর্টে বলছে, বিজয়ীদের ৮১ শতাংশই কোটিপতি। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনী যজ্ঞে ২৪৩ জন বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
এডিআরের রিপোর্ট বলছে, ১৬৩ জন বিধায়ক হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এঁদের মধ্যে ৫১ শতাংশের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মতো গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। হলফনামা প্রকাশ করে সে কথা স্বীকার করেছেন খোদ জনপ্রতিনিধিরাই। এবার এই ধরনের নির্বাচিত প্রতিনিধির সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। আগেরবার ৫৮ শতাংশ বিধায়ক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন।
এডিআরের রিপোর্ট বলছে, আরজেডি’র ৭৪ জন বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ৫৪ জন, বিজেপি’র ৭৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৪৭ জন, জেডি(ইউ)–এর ৪৩ বিধায়কের মধ্যে ২০ জন, কংগ্রেসের ১৯ বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ১৬ জন, সিপিআই(এমএল)–এর ১২ বিধায়কের মধ্যে ১০ জন এবং এআইএমআইএম –এর ৫ বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
বিজয়ীদের সম্পত্তির হিসেবও রয়েছে এই রিপোর্টে। হলফনামা অনুযায়ী, বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ১৯৪ জনই কোটিপতি। সর্বাধিক কোটিপতি বিধায়ক রয়েছে বিজেপি’র। তাঁধের ৬৫ জন বিধায়কের সম্পত্তির মূল্য কোটি টাকার বেশি। এরপরেই রয়েছে আরজেডি। তাঁধের ৬৪ জন বিধায়ক কোটিপতি। নীতীশ কুমারের দলের ৩৮ জন ও কংগ্রেসের ১৪ জন বিধায়ক কোটি টাকার মালিক।