দেশ ব্রেকিং নিউজ

আজ চলছে ভারত বনধ

গত বছর ২৬ নভেম্বর কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছিল। আজ সেই আন্দোলনের চার মাস পূর্ণ হওয়ার দিনই দেশজুড়ে বন্‌ধের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে এই বন্‌ধ শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বহুদিন ধরেই উত্তর ভারতের হিন্দি বলয়ের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন কৃষকরা। দিল্লির সীমান্ত অবরুদ্ধ করে রেখেছেন তাঁরা। আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন জারি রাখার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। দিল্লির প্রধান তিনটি সীমান্ত— সিংঘু, গাজিপুর এবং তিকরি সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অন্নদাতারা।
উত্তর ভারতে এই বন্‌ধের জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। এদিন সকাল থেকেই পথে নেমেছেন কৃষকরা। জায়গায় জায়গায় পথ অবরোধ করা হচ্ছে। আন্দোলনের তিন কেন্দ্রস্থলের অন্যতম গাজিপুরে সকাল থেকেই ৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা শুরু করেন আন্দোলনরত কৃষকরা। কৃষক মোর্চার বনধ ছাড়াও আজ অল ইন্ডিয়া ট্রান্সপোর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ‘চাক্কা জ্যাম’–এর ডাক দিয়েছে পেট্রোল–ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে। কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে চলছে এই আন্দোলন। বর্তমানে ওই আইন বলবৎ স্থগিত রাখা হয়েছে, তবে তা এখনও বাতিল হয়নি। এই আইন নিয়ে একাধিকবার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে কেন্দ্র। কিন্তু সমাধান সূত্র এখনও অধরাই।
বন্‌ধ সমর্থনকারীদের আটকানোর জন্য সচেষ্ট পুলিশ প্রশাসনও। দিল্লির সীমানার জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড করে দিয়েছে পুলিশ যাতে আন্দোলনকারীদের চলাচল রোধ করা যায়। পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশে এই বন্‌ধের প্রভাব চোখে পড়ছে। শুক্রবার সকাল থেকেই বনধের জেরে কার্যত অবরুদ্ধ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্য। পাঞ্জাব–হরিয়ানায় দফায় দফায় বিক্ষোভের খবর পাওয়া গিয়েছে। ‘রেল রোকো’ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। কৃষক মোর্চার নেতা দর্শন পাল একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, সমস্ত সবজি ও দুধের সরবরাহ বন্ধ থাকবে বনধ চলাকালীন। যানবাহন, বাজার ও রেল চলাচল বন্ধ করার ডাক দিয়েছেন তিনি। তবে অনুগামীদের অ্যাম্বুলেন্স, দমকল–সহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবা বন্ধ না করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিছু রাজ্যের সরকারও এই বন্‌ধকে সমর্থন জানিয়েছে। দক্ষিণের অন্ধ্রে কৃষকদের ডাককে সমর্থন জানিয়েছে শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস। ফলে অন্ধ্রপ্রদেশে বন্‌ধের প্রভাব পড়তে পারে।