দেশ লিড নিউজ

ভারত বন্‌ধে ব্যাপক প্রভাব দেশজুড়ে

তিন কৃষি আইন পাশের একবছর পূর্তি। এই আইনের বিরোধিতা করে আজ ভারত বনধের ডাক দিয়েছে ৪০টি কৃষক সংগঠনের সংযুক্ত মোর্চা। এই বনধকে সমর্থন করেছে বাম, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, টিডিপি-র মতো বিরোধী দলগুলি। কৃষি আইনের বিরোধিতায় জাতীয় স্তরে বিভিন্ন জায়গায় বনধ পালন করছেন কৃষকরা। প্রভাব পড়েছে কলকাতা থেকে জেলাতেও।

কৃষকদের পাশে শুরু থেকে থাকলেও, তাঁদের দাবিকে সমর্থন করলেও বনধ সমর্থন করছে না তৃণমূল। বাংলায় বনধের বড় চেহারা দেখা না গেলেও দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে ভালোই প্রভাব পড়েছে বনধের। বিশেষত এই চারটি রাজ্যে রাস্তায় নেমে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বহু কৃষক। তাঁদের আন্দোলনের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাঞ্জাব-হরিয়ানা এবং অমৃতসর-দিল্লি জাতীয় সড়কও।

দিল্লি-হরিয়ানার সিঙ্ঘু সীমানা বন্ধ করেছে বনধ সমর্থনকারীরা। অমৃতসরে ভোর ৫টা থেকে পথে আন্দোলনকারীরা। সতর্ক প্রশাসন। কেরলে একসঙ্গে বনধ পালন করছে শাসক এলডিএফ এবং বিরোধী ইউডিএফ। বনধের জেরে দেশজুড়ে গণপরিবহণে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। যে কোনওরকম অশান্তি এড়াতে দিল্লিজুড়ে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। পাঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু বর্ডারে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা।

কৃষি আইনের বিরোধিতায় পাঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমানায় কৃষকদের বিক্ষোভ। হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের শাহাবাদে দিল্লি-অমৃতসর জাতীয় সড়ক অবরোধ। গাজিপুর সীমানাতেও একই ছবি। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত জানান, ‘‌ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের কোনও অসুবিধা করা হচ্ছে না। আমরা কেবল দোকানদাদের কাছে একটা বার্তা পৌঁছতে চাই যে, বিকেল ৪টে পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখুন।’‌ বাংলায় যাদবপুরে কিছুক্ষণের জন্য ট্রেন অবরোধ করে বামেরা। কিছু জায়গায় বাস চলাচলেও বাধা দেওয়া হয়েছে বলে খবর।