কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি–বিলের বিরুদ্ধে এবার দেশজুড়ে পথে নামল কৃষকরা। আর তা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়ল কেন্দ্রীয় সরকারের। কারণ এই ছবি গোটা দেশ তথা বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শুক্রবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে দেশের অধিকাংশ কৃষক সংগঠন। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ–সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বনধের সমর্থনে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, পথ অবরোধ। বনধের সমর্থনে রাজ্যেও কৃষকদের ধর্ণা কর্মসুচি শুরু হয়েছে।
মোট ৩০টি কৃষক সংগঠন এই বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন। এটাই কপালে ভাঁজ ফেলার জন্য যথেষ্ট। কারণ দেশের কৃষকদের ক্ষেপিয়ে দিয়ে সরকার টিকিয়ে রাখা কঠিন। পরিস্থিতি এমনিতেই ঘোরালো হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ কৃষকরা শুক্রবার সকালে দিল্লি–অমৃতসর হাইওয়ে অবরোধ করেন। অযোধ্যা–লখনউ হাইওয়েতে প্রবল যানজটের খবর মিলেছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় ধর্মঘট চলছে। সেখানে কৃষকদের সমর্থনে রয়েছে শাসক কংগ্রেস, বিরোধী আম আদমি পার্টি এবং এনডিএ’র শরিক শিরোমণি অকালি দল। পাঞ্জাবে ইতিমধ্যেই তিনদিনের রেল রোকো কর্মসুচি শুরু করেছেন কৃষকরা। দাবি মানা না হলে ১ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল রোকো কর্মসুচি নেবেন তাঁরা বলে হুমকি দিয়েছেন।
এই কৃষক সংগঠনগুলি ১৮টি রাজনৈতিক দলের সমর্থন পেয়ে গিয়েছে। চার রাজ্যে কংগ্রেস আছে। তারা সমর্থন করেছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কৃষকদের সমর্থন করেছে। কেরলে বাম–সরকার, দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সরকার এবং তেলঙ্গানায় টিআরএস সরকার কৃষকদের প্রতিবাদ–আন্দোলনকে সমর্থন করেছে।
এই পরিস্থিতিতে ফিরোজপুর ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার রাজেশ আগরওয়াল জানান, কৃষকদের রেল রোকো কর্মসুচি থাকায় সব স্পেশ্যাল ট্রেন তিন দিন বাতিল করা হয়েছে। কৃষি বিলের প্রতিবাদে বিহারের দ্বারভাঙায় শুক্রবার সকালে মোষের পিঠে চেপে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় রাষ্ট্রীয় জনতা দল। তারা ছাড়াও সে রাজ্য কংগ্রেস ও তৃণমূল এই বিলের বিরোধিতা করেছে। কর্নাটক–তামিলনাড়ু হাইওয়েও অবরোধ করা হয়। অবরোধ হয় অযোধ্যা–লখনউ হাইওয়েতেও। কৃষি বিলের বিরুদ্ধে শুক্রবার ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসছে তৃণমূলের কিষান খেত–মজদুর সংগঠন।