রাজ্য লিড নিউজ

কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বন্‌ধের প্রভাব বাংলায়

কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতায় পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবারই ধর্ণা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন। মঙ্গলবার কৃষকদের ভারত বন্‌ধকে সমর্থন করেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ অকালি দলের সঙ্গে তৃণমূলের বৈঠক হয়ে সেই সিদ্ধান্তই হয়েছিল। তাই মঙ্গলবার দেশজোড়া বন্‌ধের জের আছড়ে পড়ল কলকাতা–সহ রাজ্যের জেলায় জেলায়।
আজ থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে শুরু হল তৃণমূলের কর্মসূচি। তৃণমূলের কিষাণ ক্ষেত মজদুর সংগঠনের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন হচ্ছে। আর বনধের সমর্থনে এদিন রাজ্যের একাধিক জায়গায় রেল অবরোধ করেন বাম সমর্থকরা। এদিন যাদবপুরে লোকাল ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখান বামকর্মীরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে লাল–পতাকা নিয়ে অবরোধ করেন তাঁরা। লেকটাউন, মধ্যমগ্রামের দোলতলা মোড়ে. চৌমাথা মোড়ে, যশোর রোডে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বামকর্মীরা।
৮ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর, টানা তিনদিনের কর্মসূচি রয়েছে। শেষদিন ১০ তারিখ বিকেলে এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধু কলকাতাতেই নয়, জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তা ও রেল অবরোধ করেন বন্‌ধ সমর্থনকারীরা। রিষড়া, ডোমজুড়, বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া, জয়নগর, পাঁশকুড়া, বালি, বাঁকুড়া, আসানসোল, কোচবিহারেও সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়ে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বাম সমর্থকরা।
মঞ্চের সামনে ঝুড়ি করে বিভিন্ন সবজি রেখে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে মাটিতে ধান ছড়িয়ে লেখা হয়েছে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে। রাখা হয়েছে একটি কোদালও। কোচবিহার শহরের হরিশপাল চৌপথি এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি পথ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ভারত বনধের সমর্থনে সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েছে বাম মিছিল। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে বনধ সমর্থনকারীরা। বাস ভাঙচুর করা হয়। মাথাভাঙা শহরের পচাগড় মোড়ে রাস্তায় টায়ারও জ্বালানো হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, অন্নদাতাদের আন্দোলনের পাশে আছেন, আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইনের বিরোধিতায় রাজধানী যখন উত্তাল, তখন কৃষকদের সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন, আজ মঙ্গলবার দেশজোড়া কৃষক আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন করছেন তিনি।