বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। মনোনয়নের শেষ দিনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে এই এলাকা। অভিযোগ, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক আইএসএফ কর্মী। মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে মৃত্যু ওই আইএসএফ প্রার্থীর। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ গিয়েছে তাঁর। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূল। যদিও সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, স্থানীয় পানাপুকুর এলাকায় একটি বাড়ির ছাদ থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি সকাল থেকেই পরপর বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। লাঠি-পতাকা নিয়ে বিডিও অফিসের বাইরে জমায়েতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী৷ তার পরও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ৷
উত্তপ্ত ভাঙড়ে সিপিএম প্রার্থীর মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজয়গঞ্জ বাজারের কাছে বাম প্রার্থীদের আটকানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশি মধ্যস্থতায় বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেন বাম প্রার্থী। মামনি মণ্ডল নামে ওই বাম প্রার্থী বলেন, “তৃণমূলের লোকজন আটকাচ্ছিল। পুলিশ না থাকলে মনোনয়ন জমা দিতে পারতাম না। তবে এখানে আসার পথে হুমকি দিচ্ছে।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের শেষদিন৷ শেষের দিনও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি ছড়িয়েছে৷ মঙ্গল ও বুধবারের পর বৃহস্পতিবার ও অশান্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়৷