বেঙ্গালুরুর একটি ফ্ল্যাটের ফ্রিজ থেকে শনিবার ২৯ বছরের মহালক্ষ্মীর দেহ প্রায় ৩০ টুকরো করে কাটা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। মহালক্ষ্মীর মা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, বাড়ির মালিক তাঁদের ফোন করে জানান মৃতার ঘর থেকে দুর্গন্ধ আসছে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাইম সাসপেক্ট হিসাবে সনাক্ত করেছিল মুক্তিরাজনই। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ আগেই জানিয়েছেন, ‘পুলিশ ওই আততায়ীর খোঁজ পেয়েছিল। তাকে ধরে খুনের কিনারা করতে এগিয়ে যাচ্ছিল। তরুণী যে অফিসে কাজ করতেন, সেখানে মুক্তিরঞ্জন শেষবার গিয়েছিল ১ সেপ্টেম্বর।’ এরপর পুলিশি তদন্তে ওড়িশার ভদ্রকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। আত্মহত্যা করেছে বলেই দাবি পুলিশের।
এদিন আত্মঘাতী অভিযুক্তের ডায়েরি থেকে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে পুলিশ। তাতেই খুনের কথা কবুল করেছেন ওই অভিযুক্ত। সুইসাইড নোটে লেখা, বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাটে একা থাকতেন মহালক্ষী। মেলামেশা ছিল মুক্তিরাজনের সঙ্গে। তিনি নিহত তরুণীর সহকর্মী ছিলেন। ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুও। সম্প্রতি মৃতার খারাপ আচার ব্যবহার তাঁর প্রতি মুক্তিরাজনের বিভৎস আক্রোশ বাড়িয়ে তুলেছিল। ব্যক্তিগত কারণে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় বচসা। যার জেরে এই খুন। এরপর সপ্তাহখানেক আগেই বেঙ্গালুরু ছেড়েছিলেন অভিযুক্ত।
বুধবার পান্ডিতে নিজের গ্রামে পৌঁছন তিনি। তারপর থেকে সারাদিন বাড়িতেই ছিলেন। রাতে প্রতিবেশীরা তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মগ্লানি থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ওই যুবক।