আন্তর্জাতিক

করোনার শঙ্কা কাটিয়ে শারদোৎসবে প্রবাসী বাঙালিরা

উৎসব আর বাঙালি—সমার্থক। অনেকের কাছে দুগ্গাপুজো ঘরে ফেরার ডাকও বটে। কিন্তু বিদেশে পাকাপাকিভাবে থাকা বাঙালিরা কী করবেন? প্রবাসেই উৎসবের আয়োজনই তাঁদের একমাত্র সমাধান। আমেরিকা, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, হংকং–সহ বিভিন্ন জায়গায় এক খণ্ড বঙ্গদেশ কিংবা কলকাতার স্পর্শ থাকবেই। শিউলি ফুলের গন্ধ ছাড়াই কলকাতা থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে দেবী বন্দনায় মেতে ওঠে বাঙালি কমিউনিটি।

আমেরিকার পুজো সবসময় দিনক্ষণ মেনে পালন করা সম্ভব নয়। সাধারণত সপ্তাহান্তেই পুজো পালিত হয়। নর্দান ক্যালিফোর্নিয়ার বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য অঞ্জিরা দে বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে। সেই সময় কোভিড ত্রাণ তহবিলে অনুদান সহ ভার্চুয়ালি বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন করে বেকার শিল্পীদের সাহায্য করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। মূলত প্রবাসী বাঙালিদের একত্রিত করাই আমাদের লক্ষ্য।’

আমেরিকার অন্য আর একটি পুজো ‘সৈকত’। এবার ১৯ বছরে পা দিচ্ছে তাদের দুর্গোৎসব। এখানে পুজো হয় দু-তিনদিনের। এই মুহূর্তে চলছে জোর তৎপরতা। অন্যতম উদ্যোক্তা অনুসূয়া চট্টোপাধ্যায় জানান, এই বছরের পুজো হবে ১৫-১৭ অক্টোবর। সঙ্গে চলবে জমিয়ে আড্ডা, সিঁদুর খেলা, ধুনুচি নাচ, খাওয়া দাওয়া আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।’ ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসেতে প্রবাসী বাঙালিদের দুর্গা আরাধনা প্রতিবারই বেশ জাঁকজমকপূর্ণ।

গল্ফ অব মেক্সিকোর তীরে লুইসিয়ানা প্রদেশের ব্যাটন রুজ শহরে এক বাঙালি পরিবারের পুজো বেশ আকর্ষণীয়। কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা যায় সেখানে। খাদ্যতালিকায় থাকে খিচুড়ি, লাবড়া, বেগুনি, পায়েস। আমেরিকার গণ্ডি টপকে মধ্য ইউরোপের জার্মানিতেও এবার ধুমধামের সঙ্গে পালিত হচ্ছে দুর্গোৎসব। মৈত্রী ক্লাবের স্টুটগার্ট দুর্গাপূজা সমিতি এই প্রথম পুজোর আয়োজন করছে। ১৪-১৭ অক্টোবর, চার দিন ধরে চলবে তাদের পুজো।