আলাপন ইস্যুতে কেন্দ্রের মুখ পুড়তেই আলোড়ন নেটদুনিয়ায়। টুইটারে ট্রেন্ডিং #বাঙালিপ্রাইমমিনিস্টার বা #BengaliPrimeMinister। আগেই মোদী–শাহের বিজয়রথ আটকে দিয়েছেন। মুখ্যসচিবকে নয়াদিল্লি টেনে নিয়ে যেতে পারেনি কেন্দ্র। তার অব্যবহিত পরেই টুইটারে শুরু হয়েছে এই ট্রেন্ডিং। এই নিয়ে এখন জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।
কেন্দ্রের চিঠির পরও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়েনি রাজ্য। বরং সোমবার নিজের কর্মজীবন থেকে অবসর নিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে তাঁকে নিযুক্ত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব হলেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং স্বরাষ্ট্রসচিব পদে তাঁর বদলে এলেন বি পি গোপালিকা। এদিন বিকেলে পাঁচটার কিছুক্ষণ আগে রাজ্যকে পালটা চিঠি দেয় কেন্দ্র। তাতে মুখ্যসচিবকে অবিলম্বে কেন্দ্রের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
স্বাধীনতার পর বাঙালি রাষ্ট্রপতি দেখেছে দিল্লির দরবার। তবে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী কেউ হননি। ২০২৪ সালে মমতাকেই সেই চেয়ারে দেখতে চাইছেন নেটিজেনরা। টুইটারে শুরু হয়ে গিয়েছে ট্রেন্ডিং, বাঙালিপ্রধানমন্ত্রী। তৃণমূলের কর্মী–সমর্থক থেকে বহু নেটিজেনও একই দাবি তুলেছেন। কেউ লিখেছেন, বাংলার মেয়েকে চায় ভারত। কেউ লিখেছেন, এই স্বৈরচারি সরকারকে উপযুক্ত জবাব দিতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের থেকে শিক্ষা নিয়ে এককাট্টা হওয়ার চেষ্টা করছে বিরোধী দলগুলিও। বাংলায় মোদী–শাহের বিজয়রথের চাকা যেভাবে মাটিতে বসিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে নিঃসন্দেহে তাঁর ওজন বেড়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী শিবিরের অন্যতম কাণ্ডারি হতে চলেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।