রাজ্য

কাল থেকে স্কুল ছুটি

মাত্রা ছাড়িয়েছে বাংলার দৈনিক করোনা সংক্রমণ। আর কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে এবার মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। এগিয়ে আনা হল গরমের ছুটি। সোমবার এই কথাই ঘোষণা করল রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যের স্কুলগুলি বন্ধ রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। নির্দেশিকাতে উল্লেখ আছে যে, স্কুলে আসতে হবে না শিক্ষক–শিক্ষিকাদেরও। আর তাতেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর করোনা আতঙ্কে বন্ধ হয়ে যায় রাজ্যের সমস্ত স্কুল। পরে যদিও আংশিকভাবে খোলা হয় স্কুল। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল চলছিল রাজ্যে। কিন্তু, এবার বেলাগাম করোনা পরিস্থিতিতে ফের একবার স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই এগিয়ে আনা হল গরমের ছুটি। যদিও সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে গরমের ছুটি বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে।
সমস্ত সরকারি–সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল বন্ধ রাখার কথাই বলা হয়েছে। সব বেসরকারি স্কুলের কাছেও আবেদন করেছে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এখন পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে গরমের ছুটি এগিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে মুখ্যসচিবের কথা চলছে। পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’ শিক্ষক মহলের একাংশের মতে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে গরমের ছুটি দেওয়া হলেও, কবে পর্যন্ত ছুটি চলবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
রবিবারই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা (জেইই মেন)–এর এপ্রিলের পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তার আগে গত শুক্রবার আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। দেশে কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য গত বুধবার সিবিএসই পরীক্ষার ক্ষেত্রেও এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় এবার রাজ্যের সব স্কুলেও ছুটির ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। মার্চ মাস থেকেই ফের করোনা পরিস্থিতি বেসামাল হতে শুরু করে। টিকাকরণ চললেও ক্রমশই ভয়াবহ আকার নিয়েছে কোভিড সংক্রমণ। আর এর জন্য মূলত নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।