প্রাচীনকাল থেকেই উপকারী ফল হিসেবে বেলের পরিচিতি সর্বত্র। কাঁচা, পাকা বেল, বেলের পাতা, ফুল, বাকল ও মূল সবই অনেক পুষ্টিকর। বেলেতে এমন কিছু উপাদান আছে যা খুব কম ফলেই পাওয়া যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
বেল মল পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। নিয়মিত আপনি বেলের শরবত খেতে মল আর কঠিন থাকবে না। কোষ্ঠকাঠিন্য আর হবে না। পাকা বেলের শাঁস বের করে চিনি,জল বা দুধ মিশিয়ে শরবত করে খান।
ডায়েরিয়া কমায়
কাঁচা বেল ডায়েরিয়ার জন্য অব্যর্থ ওষুধ। যদি অনেক দিন ধরে আপনি এই সমস্যায় ভোগেন তাহলে বেল খান। কাঁচা বেল স্লাইস করে কেটে রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর তা গুঁড়ো করে নিন আর এই গুঁড়ো এক চামচ নিয়ে ব্রাউন সুগার আর গরম জলে মিশিয়ে খান। দিনে দু বার খেতে হবে এই শরবত। আপনাকে ফল পেতে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
পাকা বেলে আছে মেথানল নামের একটি উপাদান যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ দেয়। তবে ভালো ফল পেতে পাকা বেল শরবত করে নয়, এমনিই খেতে হবে।
ক্যান্সার থেকে দূরে রাখে
এতে আছে অ্যান্টি প্রলেফিরেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন উপাদান। এই উপাদান টিউমার হতে দেয় না সহজে। আর যেহেতু এই ফলে হাই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান আছে তাই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
ম্যালেরিয়া কমায়
ম্যালেরিয়া হলে কাঁচা বেল গুঁড়ো করে নিন। এবার এক চামচ এই বেল গুঁড়ো নিয়ে তার সঙ্গে তুলসীর রস নিন। সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন দিনে দু বার। এটি খুব কাজে দেয়।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে
বেল আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখবে। সাধারণ যেমন বেলের শরবত খান সেভাবে খেলেই হবে।
আমাশয় কমায়
আমাশয় হলে কিন্তু আমাদের যন্ত্রণার একশেষ। নাভির কাছে চিনচিনে ব্যথা, টক বমি সব মিলে খুব বাজে ব্যাপার। তবে বেলের কাছে এটি কমাবারও ম্যাজিক আছে। কচি বেল টুকরো করে কেটে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সেই জল পরের দিন ছেঁকে নিয়ে খান। দেখবেন এতে খুব ভালো ফল পাবেন।