অমরত্বের স্বাদ! যা লাভের নেশায় সেই আদিমকাল থেকেই বিভোর মানুষ। কারও কাছে অনন্তকালের জন্য জীবন প্রত্যাশাই অমরত্ব। কেউ আবার অমরত্ব বলতে বোঝেন, মৃত্যুর পর তাঁর কীর্তি দিয়ে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকা। বেলজিয়ামের বিস্ময় বালক লরেন্ট সাইমনস দ্বিতীয় পথের পথিক হতে চায়। সে ছকে ফেলেছে পরবর্তী পদক্ষেপ। যন্ত্রাংশের মাধ্যমে নিজের দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিকে প্রতিস্থাপন করেই অমরত্ব লাভ করতে চায় সে।
কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব? সেই পথ খুঁজতেই পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে বেলজিয়ামের উপকূলীয় শহর ওসেন্ডের বাসিন্দা ১১ বছরের সাইমনস। ইতিমধ্যেই সে আন্তভের্প বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। অন্যদের তিন বছর সময় লাগলেও সাইমনসের এই ডিগ্রি অর্জনে লেগেছে মাত্র এক বছর। গোটা বিশ্বে এখন সে দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম স্নাতক।
ছোট থেকেই একের পর এক নজির গড়ে চলেছে সাইমনস। দেড় বছরে সে হাইস্কুলের পাঠ শেষ করে হাতে পেয়ে যায় শংসাপত্র। তখন তার বয়স মাত্র আট বছর। গত বছরের এপ্রিলে ক্লাসিক্যাল মেকানিক্স ও কোয়ান্টাম ফিজিক্সের উপর কোর্স শুরু করেছিল সাইমনস। এগুলি সম্পর্কে যাবতীয় খুঁটিনাটি জানতে চেয়েছিল সে।
সাইমনস জানিয়েছে, অমরত্বই তার একমাত্র লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগতে চায় সে। তাঁর কথায়, ‘যতটা সম্ভব যন্ত্রাংশ দিয়ে আমার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিকে প্রতিস্থাপন করতে চাই। আর তা কীভাবে করা সম্ভব সে ব্যাপারে ছক কষে ফেলেছি আমি।’ তার কথায়, ওইসব বিখ্যাত মানুষেরা কে, কী ভাবছেন, তা জানতে চায় সে। তাঁদের ভাবনার সঙ্গে একবার যাচাই করে নিতে চায় নিজেকে। সেটাই তার অমরত্বের লড়াইয়ের পাথেয়।