ফের ভারতে বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে করোনা ভাইরাস। আশঙ্কা করা হচ্ছে, কেন্দ্র সরকার গঠিত প্যানেল বলছে, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে চলেছে।
তার মধ্যে একটু স্বস্তির খবর এই যে, সরকারি ওই প্যানেলের বক্তব্য, করোনার তৃতীয় ঢেউ, দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো ভয়াবহ হবে না। কারণ দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় বেশি মানুষের টিকাকরণ হয়েছিল না। ফলে অনেক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু এখন বেশিরভাগ মানুষেরই টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি। আশঙ্কার বিষয়, কৃত্রিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে গিয়ে যদি শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যায় তাহলে তৃতীয় ঢেউয়ে দৈনিক ১.৭ লক্ষ থেকে ১.৮ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। যদিও তা দ্বিতীয় ঢেউয়ের কাছে অনেকটাই কম।
ফেব্রুয়ারিতেই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন COVID-19 সুপারমডেল কমিটি। কমিটির প্রধান এম বিদ্যাসাগর বলছেন,”আগামী বছরের শুরুতেই তৃতীয় ঢেউ আসছে। এই মুহূর্তে আমাদের দেশে সাড়ে সাত হাজারের আশেপাশে মানুষ দৈনিক আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা বাড়বেই। ওমিক্রনের প্রভাব ডেল্টার থেকে বেশি হওয়া শুরু করলেই তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী।”
এর মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওমিক্রন। ভারতে করোনা পরিসংখ্যান এখনও বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছায়নি। প্রায় প্রতিদিনই কমছে করোনার অ্যাকটিভ কেস। আক্রান্তের সংখ্যাও কমবেশি ৭ হাজারের আশেপাশেই থাকছে। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৬। করোনার ওমিক্রন হানা রুখতে টিকাকরণই হাতিয়ার কেন্দ্রের। ইতিমধ্যেই দেশে করোনার টিকার ১৩৭ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৬ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।