চিনের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ডাকই দিয়েছিলেন। তাঁর সেই ডাকে সাড়া দিয়েছে বেশিরভাগ ভারতবাসী। লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনা জওয়ানদের শহিদ হওয়ার পর থেকে চিনের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে গোটা দেশ। চিন বিদ্বেষের এই ঢেউ আছড়ে পড়েছে আইপিএলেও। চাইনিজ মোবাইল সংস্থা ভিভো’র সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করেছে বিসিসিআই। আর ভিভো ছিল আইপিএলের টাইটেল স্পনসর। রাজনৈতিক কারণে ভিভো নিজে থেকেই এই বছরের জন্য আইপিএলের স্পনসর থাকছে না। যার ফলে আইপিএলে নতুন করে স্পনসর খুঁজতে নেমেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
এদিন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি জানান, শেষবেলায় ভিভোর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ বড় ধাক্কা বটে। তবে তাতে খুব একটা আর্থিক সঙ্কটে পড়বে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আরবে শুরু হবে আইপিএল। তার আগে টাইটেল স্পনসর হিসাবে বেশ কয়েকটি বড় সংস্থার নাম ভেসে আসছে। তারই মধ্যে অ্যামাজনের নামও শোনা যাচ্ছে। বোর্ড ভিভোর সঙ্গে চুক্তি ভাঙায় খুব একটা চিন্তিত নয়। ভারতীয় ক্রিকেটে লগ্নি করার সুযোগ পেতে মরিয়া একাধিক বড় সংস্থা। বিসিসিআই তাই চিন্তিত নয়।
আবার ভারতীয় টিমের নতুন কিট স্পনসর কারা হবে, তা নিয়েও জল্পনা চলছে। বোর্ডের একাংশের দাবি, এগিয়ে রয়েছে পুমা। দৌড়ে রয়েছে আদিদাসও। আবার পুরনো স্পনসর নাইকি ফের বিড করবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। টাইটেল স্পনসর যে অর্থ দেয় তার অর্ধেক আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে বাটোয়ারা করা হয়। ভিভো ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত করা চুক্তি অনুযায়ী ২১৯০ কোটি টাকা দিয়েছে বিসিসিআইকে। প্রতি বছর প্রায় ৪৪০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছিল এই চাইনিজ সংস্থা। সৌরভ গাঙ্গুলি এদিন বলেন, ‘আমি আর্থিক সঙ্কট বলব না। তবে হ্যাঁ, এটা ধাক্কা বটে! বিসিসিআই যথেষ্ট শক্তিশালী একটি সংস্থা। ক্রিকেটার, কর্তা, দর্শকরা এই সংস্থাকে শক্তিশালী করে তুলেছে। আমাদের প্ল্যান বি তৈরি। এই ধাক্কা সামলে উঠব আমরা।’
