করোনাভাইরাস থেকে লকডাউন। এই সমস্যার জাঁতাকলে পরে আর্থিক অনটনে দিন কাটছে বীরভূমের বাউল শিল্পী থেকে অন্যান্য শিল্পীদের। যেখানে তাদের অর্থ যোগানের মূল মাধ্যমই হলো গান বাজনা, সেই জায়গায় কাজ বন্ধ প্রায় দেড় বছর। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে বিশেষ করে বীরভূমের বাউল শিল্পীরা সরকারি সাহায্যের আবেদন করেছেন।
জানা গিয়েছে, গত বছর যখন থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে তখন থেকে তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বোলপুরের শান্তিনিকেতনের বাউল শিল্পীদের আয়ের মূল উৎস নির্ভর করে পর্যটকদের উপর। কিন্তু তাও এই সংক্রমণ এবং কঠোর বিধিনিষেধের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর উপার্জন নেই।
দিনযাপন নিয়ে জানিয়েছেন বোলপুরের বাসুদেব দাস বাউল। এই বাসুদেব দাস বাউল যাঁর বাড়িতেই একুশের নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মধ্যাহ্নভোজন করেছিলেন। এমনকী তাঁকে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রাতেও। তিনিও ভাল নেই, তা তার কথাতেই স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমাদের মত যাঁরা গান বাজনা নিয়ে থাকেন তাঁদের প্রত্যেকেরই অবস্থা খুব খারাপ। আর এই সকল শিল্পীদের মধ্যে আবার বাউল শিল্পীদের অবস্থা আরও শোচনীয়। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে এভাবেই আমরা দিন কাটাচ্ছি। কোন সরকারি সাহায্য পাওয়া যায় না।’