টিটাগড়ে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফুটছে বিজেপি। এদিন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। টিটাগড়, বিটি রোড, দত্তপুকুর–সহ নানা এলাকায় বিক্ষোভ চলছে। বিজেপি পালন করছে ১২ ঘন্টার বনধ। তার মধ্যেই দলের একাধিক নেতা একের পর এক টুইট করে নিশানা করেছেন রাজ্য সরকারকে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবণতির প্রশ্ন তুলে রাজ্যের ডিজি ও অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারিকে(হোম) তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। কিন্তু তাঁরা কেউ উপস্থিত হলেন না।
টিটাগড়ে থানায় সামনেই গুলিতে খুন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ট নেতা মণীশ শুক্লা। সন্ধ্যেয় মণীশ যখন পার্টি অফিসে আসছিলেন তখন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। গুলি লাগে মণীশের ঘাড় ও মাথাতে। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দলের নেতার এভাবে প্রকাশ্যে খুন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলের একাধিক নেতা। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং টুইট করেন, মণীশ শুক্লা ছিল আমার ছোট ভাইয়ের মতো। ঢাল হয়ে আমাকে আড়াল করতে। শহিদ হয়েছে আজ। ওঁর বলিদান কখনও ভুলবে না ব্যারাকপুর ও বাংলা। তৃণমূলের নেতারা আর পুলিশকে তাদের কুকর্মের ফল ভোগ করতে হবে।
দলের নেতার মৃত্যুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান টুইট করেন, বাংলায় সত্যিই গণতন্ত্র নেই। আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে তোমার ইচ্ছে পুরণ করব। বিজেপি নেতার মৃত্যুতে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে দলের জাতীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন টুইট করেন, ব্যারাকপুরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে। পশ্চিমবঙ্গে মমতার গুন্ডারা প্রকাশ্যে হত্যা করে চলেছে। ওইসব গুন্ডাদের আশ্রয় দিচ্ছে প্রশাসন।
এদিন মণীশ শুক্লার বাড়িতে যান কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় এবং অরবিন্দ মেনন। দিল্লি থেকে দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ‘বাংলায় কী গণতন্ত্র আছে? মুখ্যমন্ত্রী কখন যাবেন মণীশের বাড়িতে?’ তবে এই নিয়ে এখন জেলাজুড়ে শোরগোল পাকাতে মরিয়া বিজেপি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজভবনে কেউ না আসায় এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। টুইট করে এই কথা জানানোর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘নিস্তব্ধতাই যেন অনেক সত্যকে তুলে ধরছে।’ এবার মণীশ–হত্যাকে কেন্দ্র করে রাজভবন–নবান্ন সংঘাত নতুন মাত্রা পেতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
