- উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতে বিখ্যাত কালীপুজোর জন্য। এখানকার পুজো দেখতে লাখ লাখ মানুষের ভিড় জমে প্রতিবছর। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে গত বছর পুজো হয়েছে নমো নমো করে। এবার অবশ্য অন্য ব্যাপার। এবার কালীপুজোও দুর্গাপুজোর মতো নিয়মকানুন থাকছে। মন্ডপে ঢোকার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকলেও ঠাকুর দেখায় বাঁধা নেই। ফলে দুর্গাপুজোর মতো ভিড় হবে বলে মনে করছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে ভিড় নিয়ন্ত্রনে বেশ অভিনব ব্যবস্থা নিল বারাসত জেলা পুলিশ।
আসলে সমস্ত মণ্ডপে ১৪টি নিয়ম বেঁধে দিয়েছে পুলিশ। আর সেই নিয়ম মানলে মিলবে নগদ পুরষ্কার। এটাই বেশ অভিনব উদ্যোগ বলে মনে করছেন পুজো উদ্যোক্তারা। কী সেই নিয়ম? জেলা পুলিশ সুপার রাজ নারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানান, শব্দবাজি ফাটানো যাবে না, মণ্ডপ উদ্বোধন করতে হবে ভার্চুয়ালি, খোলা রাখতে হবে মণ্ডপের তিনদিক, দর্শনার্থীরা দর্শন করতে এলে প্রত্যেকের মুখে মাস্ক থাকতে হবে, মণ্ডপের ভিতরে স্যানিটাইজেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে, মণ্ডপের প্রবেশ এবং বাহির দু’টি আলাদা করতে হবে–সহ আরও কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে। তাহলেই পুজো কমিটিগুলির মধ্যে থেকেই আমরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বেছে নেব।
বারাসতে বরাবরই মাত্রাছাড়া ভিড় হয়। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে তাক লাগানো থিমের মণ্ডপ, সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিমা। আর চন্দননগরের আলোকসজ্জা হল বারাসতের কালীপুজোর ইউএসপি। পুজোর কটা দিন সারা রাত জেগে থাকে বারাসত। উত্তরের হাটখোলা মোড় থেকে শুরু করে চাঁপাডালি মোড় হয়ে ডাকবাংলো মোড় পর্যন্ত এলাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় একেকটি পুজো দেখতে। তবে এবার ভিড় নিয়ন্ত্রন করবে পুলিশ।
You must be logged in to post a comment.