এবার মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত আল–কায়দা জঙ্গিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কারণ গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা শুধু এদেশেই খাটে না। টাকার লেনদেন চলে বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে। গরু–পাচারকাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের সঙ্গে নেমে পড়ল ইডি এবং এনআইএ। তাতেই এখন সরগরম চর্চা।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় বিএসএফ ক্যাম্পের মাধ্যমে ধৃতদের বাড়ি থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খতিয়ান সংগ্রহ করা হয়। যেসব ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লেনদেন হত তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই ৪ শুল্ক বিভাগের অফিসার ও ৭ বিএসএফ কর্তা জড়িত বলে খবর। এবার উঠে এসেছে হুন্ডি হাজি নামে বাংলাদেশের শিবগঞ্জের বাসিন্দার নামও।
সীমান্ত এলাকায় যে সমস্ত পাচারের কাজ হয় সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য নেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা। মধুবনা গ্রামে ধৃত জঙ্গি মইনুল মণ্ডলের যে বাড়ি তা দেখে গোয়েন্দাদের ধারণা, পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে অল্পদিনের মধ্যেই এই বাড়ি তৈরি করা সম্ভব নয়। যোগী রাজ্যেই বাংলার গরু–পাচার কারবারের টিকি বাঁধা বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সিবিআই তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নাম উঠেছে উত্তরপ্রদেশের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রার। বাংলায় গরু পাচারের কিংপিন এনামুল হক। মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী। তার মাধ্যমেই উত্তরপ্রদেশ থেকে ব্যবসা চলে। আনারুল শেখ, মহম্মদ মোস্তাফার মতো মুর্শিদাবাদের আরও কিছু ব্যবসায়ী লিঙ্কম্যান হিসেবে কাজ করে। পেছনে থাকেন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা।
সূত্রের খবর, ফেরার জঙ্গি মুন্না সরকারের খোঁজেও তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ফেরার মুন্না সরকার, মইনুল মণ্ডল দু’জনেই একসঙ্গে ঘুরে বেড়াত। ধৃতরা প্রত্যেকেই সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে বিভিন্ন জায়গায় মিলিত হয়ে বৈঠক করত। গরু পাচারে যোগাযোগ চক্রের ব্যক্তির নাম হুণ্ডি গাজি। চাপাইদহের শিবগঞ্জের বাসিন্দা হুণ্ডি গাজি হাওলার মাধ্যমে দুবাই হয়ে টাকা লেনদেন করত। হাওলার মাধ্যমে চলে এই টাকা লেনদেন। বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে রমরমা কারবার। সেই হাওলার টাকা যায় জঙ্গিদের কাছেও।