এবার চালু হচ্ছে বাংলাদেশ–আগরতলার মধ্যে রেল যোগাযোগ। ২০২১ সালেই চালু হবে আখাউড়া–আগরতলা রেলপথ। দুই দেশের মধ্যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এই রেলপথ। কারণ ব্যবসা বাণিজ্য এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ডে সহজে যাওয়া যাবে এই রেলপথের মাধ্যমে। ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে।
৭৩–৭৪ সালে রেলে লোকবল ছিল ৬৮ হাজার। এখন তা ২৫ হাজারে নেমে এসেছে। এখন লোকবলের অভাবে ১০৪টি ষ্টেশন বন্ধ রয়েছে। রেলকে বেসরকারিকরণ করার প্রক্রিয়া নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে আলাদা রেলপথ মন্ত্রক গঠন করে রেল ব্যবস্থাকে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
জানা গিয়েছে, আখাউড়া–আগরতলা রেলপথের দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৬ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশের অংশে। আর বাকি ৪ কিলোমিটার রেলপথ ভারতের অংশে। রেলপথটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপূর সীমান্ত পর্যন্ত যাবে। ভারত সরকারের অনুদানের অর্থে নির্মিত হচ্ছে এই রেলপথ।
রেল সূত্রে খবর, ২০১৮ সালের ২১ মে নয়াদিল্লির প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয় ২৪০ কোটি ৯০ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫০১ টাকা। চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রথম দফায় চলতি বছরের ১৩ মে পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। বর্ষার জন্য কাজ করতে না পারায় সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হয়। তবে প্রথম দফায় বাড়ানো সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাস হানা দেওয়ায় কাজ বন্ধ রাখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত ১ জুন থেকে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়।