৭১ সালের ২৫ মার্চ পাক বর্বর বাহিনীর অমানুষিক অত্যাচার দিয়ে মুক্তি যুদ্ধের সূত্রপাত। রাতের অন্ধকারে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়। তখন বাংলাদেশের তিন দিকে সব সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছিল ভারত।
কাতারে কাতারে মানুষ ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। তৎকালীন সময়ে অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়, মেহেরপুরের আম্রকাননে। তখন কুষ্টিয়ার অধীনে ছিল মুক্তাঞ্চল মেহেরপুর। পা বাড়ালেই সীমান্ত। এখানকার দু’কিলোমিটার স্বাধীনতা সড়ক উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
বাংলাদেশের সরকারি অতিথিভবন পদ্মায় বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে আসেন ভারতের হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ। আন্তরিক আলোচনা হয় বিদেশমন্ত্রী ও হাই কমিশনারের মধ্যে। বিনিময় হয় উপহারও। তখনই এই প্রসঙ্গটি উঠে আসে।
দু’পক্ষের আলোচনায় ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় ২ কিলোমিটার স্বাধীনতা সড়ক উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী। ড. মোমেন বলেন, ‘স্বাধীনতা সড়ক উন্মুক্ত হলে ভারতের পর্যটকরা খুব সহজেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর পরিদর্শন করতে পারবেন। ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় নির্মিত বিভিন্ন প্রকল্প সময়মতো সম্পন্ন করার বিষয়েও আলোচনা হয়।’
দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে যৌথ পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠক সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী।
