বাংলাদেশ

রাজাকারদের তালিকা ডিসেম্বরের মধ্যেই

ডিসেম্বর মাসের আগেই মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকারদের আংশিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই তথ্য জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রক সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌ পরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান। তবে ঠিক কোন তারিখে এই ঘটনা ঘটবে তা জানানো হয়নি।
এদিন শাজাহান খান বলেন, ‘‌তালিকা প্রকাশ সংক্রান্ত কাজ শুরু করেছি। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে আমরা একটা বৈঠক করব। কিছু তালিকা সংগ্রহ করেছি। আশা করছি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আংশিক তালিকা প্রকাশ করব। তারপর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।’‌
গত ৯ আগস্ট রাজাকারের তালিকা তৈরি করতে ৬ সদস্যের উপ–কমিটি গঠন করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রক সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। উল্লেখ্য, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কয়েকটি রাজনৈতিক দল পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষ নিয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে জামাতে ইসলামি, মুসলিম লিগ, নেজামে ইসলামি।
যুদ্ধরত পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়েছিল। আনসার বাহিনীকে এই বাহিনীতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। প্রথমে এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা–বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত শান্তি কমিটির অধীনে থাকলেও পরে একে আধা সামরিক বাহিনীর স্বীকৃতি দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। একইরকম আধা সামরিক বাহিনী ছিল আল বদর বাহিনী এবং আল শামস বাহিনী। তবে স্বাধীনতাবিরোধী এই বাহিনীগুলোকে সাধারণ অর্থে রাজাকার বাহিনী হিসেবেই পরিচিত বাংলাদেশে।
প্রায় এক দশক আগে বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর রাজাকারের তালিকা তৈরির দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে বিজয় দিবসের আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী ১০ হাজার ৭৮৯ জন স্বাধীনতা বিরোধীর তালিকা প্রকাশ করেন। কিন্তু ওই তালিকায় গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের নাম আসায় ক্ষোভ আর সমালোচনার প্রেক্ষাপটে সংশোধনের জন্য ওই তালিকা স্থগিত করা হয়।