আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ

গরু পাচার ঠেকাতে কড়া প্রশাসন

কোরবানির ঈদ এলেই যেন ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারের উৎসব শুরু হয়ে যায়। কোভিড পরিস্থিতিতে এই পাচার ঠেকানোর জন্য প্রশাসনকে কঠোর হতে বলেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। এদিন সচিবালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মহম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‌সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আমের রাজধানী বলে খ্যাত রাজশাহীতে চলছে কঠোর লকডাউন। সেই জেরে ‘ম্যাংগো স্পোশাল ট্রেন’–সহ রাজশাহীর সঙ্গে যোগাযোগকারী সকল ট্রেনের যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই সপ্তাহের জন্য। দু’দেশের সীমান্ত বন্ধ রয়েছে।’‌

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইকরণ এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এমন বক্তব্য তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি জানান, ভারতের লাগোয়া বাংলাদেশের সীমান্ত–এলাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঈদ উপলক্ষ্যে ভারত থেকে বৈধ–অবৈধ পথে অনেক পশু আসে এবং মানুষ যাতায়াত করে থাকে।

ঈদুল আজহায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ যে স্থান ঠিক করে দেবে সেই নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। এর বাইরে পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না। শহর–নগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ এলাকায় সবার জন্য সুবিধামতো জায়গায় গরুর হাট বসানোর ব্যবস্থা করবে।