বাংলাদেশ

কড়া শাস্তির ব্যবস্থা বাংলাদেশে

বাংলাদেশে থামছে না করোনার তাণ্ডব। রোজই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে নয়া পদক্ষেপ করল শেখ হাসিনা সরকার। প্রশাসনের সাফ নির্দেশ, এবার থেকে টিকা না নিলে বেরনো যাবে না রাস্তায়। সরকারের পক্ষ থেকে জারি এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, টিকা না নিয়ে কেউ কর্মস্থলে যেতে পারবেন না। এমনকী প্রতিষেধক না নিলে রাস্তাঘাটে চলাচলও করা যাবে না। আগামী ৭ আগস্ট থেকে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে গণটিকাদান শুরু হবে। সাত দিনে প্রায় এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
এই টিকায় প্রবীণ নাগরিকরা, শ্রমজীবী মানুষ, দোকানদার, গণপরিবহনের কর্মীদের নিজ নিজ ওয়ার্ড থেকে টিকা নিতে হবে। এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষিধের মেয়াদ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘‌টিকা না নিয়ে কেউ দোকান খুলতে পারবেন না বা বাইরে বেরোতে পারবেন না। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা বাইরে চলাফেরা করবেন, তাঁরা টিকা না নিয়ে যাতায়াত করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।’‌
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, সরকারের হাতে এখন প্রায় সোয়া কোটি টিকা আছে। এছাড়া, এই মাসে আরও প্রায় এক কোটি টিকা আসবে। আর চিনের সঙ্গে মিলে স্থানীয়ভাবেও টিকা উৎপাদনের কাজ এগিয়ে চলছে। গত শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে জানানো হয়, ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা চলমান বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর শ্রমিকেরা গ্রামের বাড়ি থেকে দুর্ভোগ নিয়ে ঢাকা-সহ বিভিন্ন কলকারখানা অভিমুখে রওনা হন। একপর্যায়ে গত রবিবার দুপুর পর্যন্ত গণপরিবহণ চালুর অনুমোদন দেয় সরকার।