সালটা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট। মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর গণহত্যা থেকে রেহাই পেতে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। মায়ানমার সরকারের সহিংস নির্যাতনের শিকার হয়ে কয়েক দফায় ৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এখন কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সব মিলিয়ে অন্তত ১১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরানোর বিষয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফেরানোর কথা বলে আসছে ভারত।
এই বিষয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানান, বাংলাদেশ–মায়ানমারের প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মায়ানমারে দ্রুত ফেরানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে দ্রুত, নিরাপদ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনে সকলেরই মঙ্গল। এমনকী বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে এই বিষয়ে চিঠি লেখেন এস জয়শংকর। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের বিদেমমন্ত্রী।
দু’দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন ভারতের বিদেমমন্ত্রী। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের এই কথা জানিয়েছে। গত বছরের ১৮ আগস্ট ঢাকা সফর করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তখনও দু’দেশের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পায়। ভারত সরকার মায়ানমার সরকারের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আলোচনা করেছে এবং ভারত সরকার মনে করে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।
