করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর নিয়মকানুন ধীরে ধীরে শিথিল করা হচ্ছে। দীর্ঘ চার মাস ধরে বদ্ধ জনজীবন স্বাভাবিক করার তৃতীয় ধাপ শুরু হচ্ছে আগামী ১ আগস্ট থেকে। এদিন থেকে কাতারে ফিরতে পারবেন বিদেশি কর্মী ও পারিবারিক ভিসার অভিবাসী–সহ এই দেশের ভিসা আছে—এমন যেকোনও ব্যক্তি। বাংলাদেশে থাকা কাতারের নাগরিকরা যেতে পারবেন। এমনকী বাংলাদেশের নাগরিকরাও শর্তে কাতার পাড়ি দিতে পারবেন।
কাতারের যোগাযোগ কর্তৃপক্ষ ও কাতার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিদেশিদের কাতার আসা সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে দেশ ও ক্যাটাগরি নিরিখে বিদেশিদের ফেরার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক প্রক্রিয়া ও নিয়ম নির্ধারণ করেছে কাতার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আটকে থাকা কাতার প্রবাসী কর্মীরা ১ আগস্ট থেকে দুটি শর্ত মেনে কাতারে ফিরতে পারবেন। প্রথমে কাতার কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ওয়েবসাইট কাতার পোর্টালে কাতারে ফেরার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে। এতে অনুমতি মিললে কাতারে আসার পর ওই কর্মীকে নির্ধারিত হোটেলে এক সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এই কোয়ারেন্টিনের খরচ কোম্পানিকেই বহন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিদেশি কর্মীদের ফেরার অনুমতি দেওয়ার সময় সরকারি ও আধা সরকারি খাতে কর্মরত কর্মীদের চাহিদা ও কাতারের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে। পারিবারিক ভিসায় যাঁরা কাতারে থাকেন, তাঁরা বাংলাদেশ থেকে কাতারে ফেরার পর নিজ খরচে এক সপ্তাহের জন্য হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এক সপ্তাহ পার হওয়ার পর তাঁদের করোনার পরীক্ষা করা হবে। করোনার ফল নেগেটিভ হলে বাড়িতে আরও এক সপ্তাহের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আর পজিটিভ হলে আইসোলেশনে যেতে হবে।
কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই এক সপ্তাহের জন্য হোটেল কোয়ারেন্টিনের পরিবর্তে এক সপ্তাহের হোম কোয়ারেন্টিন প্রযোজ্য হবে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ৫৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি, হার্টের সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তি, ক্যানসার চিকিৎসাধীন ব্যক্তি, অন্তঃসত্ত্বা নারী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু ও মা, লিভার ও কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী শিশু ও শিশুর মা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস–সহ নানা রোগে অসুস্থ ব্যক্তি। এখনও পর্যন্ত কাতারে করোনায় ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
