সালটা ১৯৭১। তারিখ ৬ ডিসেম্বর। স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান। আর এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) স্বাক্ষরিত হতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, ১০০টির সঙ্গে আরও ১০টি যুক্ত হয়ে মোট ১১০টি পণ্য ভুটানে শুল্কমুক্ত সুবিধায় রপ্তানির সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের। ১৮টির সঙ্গে নতুন আরও ১৬টি যুক্ত হয়ে ৩৪টি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় বাংলাদেশে রপ্তানির সুযোগ পাবে ভুটান। সেদিন ভার্চুয়াল চুক্তি–স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং।
ভুটান সৈয়দপুর বিমানবন্দর–সহ বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও মংলার মতো সমুদ্রবন্দরগুলিও ব্যবহার করার বিষয়টিও চূড়ান্ত করেছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভুটানের অর্থমন্ত্রী লোকনাথ শর্মা নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে এই তথ্য মিলেছে।
২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। এতে করে এলডিসি হিসেবে পাওয়া সকল বাণিজ্যিক সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে। তখন থেকেই বাংলাদেশকে বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। তা সামাল দিয়ে ব্যবসা–বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ বা ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষর করা জরুরি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ বা পিটিএ করার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভুটানের সঙ্গে আলোচনা শেষ করে পিটিএ স্বাক্ষরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ। পিটিএ সুবিধা পাবে বাংলাদেশে ভুটানের রপ্তানি হওয়া দুধ, মধু, ফুল, জেলি, সোয়াবিন, কচি ভুট্টা (সবজি হিসেবে খাওয়ার জন্য), সিমেন্ট, সাবান, পার্টিকেল বোর্ড ইত্যাদি এবং বাংলাদেশ থেকে ভুটানে রপ্তানি হওয়া বিভিন্ন প্রকার ফলের রস, গ্রিন টি, মিনারেল ওয়াটার, প্লাইউড, শীতবস্ত্র, বস্ত্র শিল্পের কাঁচামাল ইত্যাদি। ভুটান বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্য নয়।
