করোনা কেড়ে নিয়েছে কবি শঙ্খ ঘোষকে। তাতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলায়। সেই শোকের শরিক ওপারের বাঙালিও। যেখানে শিকড় ছিল কবির। কেটেছিল তাঁর শৈশবের নানা ঘটনা। বাংলাদেশের বরিশাল জেলার বানারিপাড়ায় শঙ্খ ঘোষের পৈত্রিক ভিটে। কবির মৃত্যুদিনে তাঁকে শেষবার দেখার আকুল হয়ে উঠলেন পদ্মাপারের মানুষরা। তাঁরাই তুলল পৈত্রিক ভিটেয় কবির সংগ্রহশালা করার দাবি।
জানা গিয়েছে, জীবনের প্রথম ১৫ বছর কবির কেটেছিল ওপার বাংলায়। তারপর দীর্ঘ জীবনে বারবার সেই স্মৃতির কথা ফিরেছে তাঁর স্মৃতিতে। ১৯৯৭ সালে শেষবার বানারিপাড়ায় গিয়েছিলেন শঙ্খ ঘোষ। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে সান্ধ্য নদী। তারই জলে শৈশবকে খুঁজেছিলেন… কলকাতা ফিরে লিখেছিলেন ‘সান্ধ্যনদীর জলে’।
এখন যেখানে আওয়ামি লিগ নেতা মঞ্জু মোল্লার বাড়ি, সে সংলগ্ন জায়গাতেই কবি নিজের বসতভিটের অবশিষ্টাংশ খুঁজে পেয়েছিলেন। শেষবার তিনি যখন এসেছিলেন। আর যাওয়ার সময় তিনি নিজ ভিটের মাটি নিয়ে যান। সেই স্মৃতি মনে পড়ছে প্রতিবেশী থেকে পদ্মাপারের বাসিন্দাদের। তখন তিনি বলেছিলেন, শরীরটা যদি একটু সুস্থ হয়, তাহলে আবার বানারিপাড়া যেতে চাই। কবির মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা কবি–সাহিত্যিকরা।