জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা মামলায় পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। আগামী ২ মাস কলকাতা শহরের একাংশে বড় জমায়েত করা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করে কলকাতা পুলিশ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেখানেই কড়া অবস্থান কলকাতা হাইকোর্টের।
বুধবার রাতে কলকাতা পুলিশের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। নয়া পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার সই করা সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়, আগামী ২ মাস কলকাতা শহরের একাংশে বড় জমায়েত করা যাবে না।
কলকাতা পুলিশের দাবি ছিল গোপন সূত্রে তারা খবর পেয়েছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কলকাতার একাধিক জায়গায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে। তাই নিরাপত্তার কারণেই এই নির্দেশ। বৃহস্পতিবার পুলিশের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা।
ধর্মতলা চত্বরে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না পুলিশের তরফে। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিপিএম, জুনিয়র ডাক্তার দু’পক্ষই। কারণ দুই পক্ষেরই একটি মিছিল করার কথা ছিল ধর্মতলা চত্বরে। কিন্তু পুলিশ আদালতে জানিয়েছে, এই বিজ্ঞপ্তি আদতে ২০২৩ সালে জারি করা হয়েছিল। প্রতি ৬০দিন অন্তর তা আপডেট করা হয়। শুক্রবার সেই বিষয়ে শুনানি হল হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে কড়া অবস্থান আদালতের।
বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ মন্তব্য করেন, “পুলিশ যদি অনুমতি না দেয় তাহলে পুজো বন্ধ করে দিন!” নির্দেশিকায় বৌবাজার থানা, হেয়ার স্ট্রিট থানা এবং ধর্মতলা এলাকায় কেসি দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকের এলাকায় জমায়েত বা মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। পুলিশের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের কোনও সুযোগ রয়েছে কি না, তা পরবর্তী শুনানিতে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।