হাওড়া থেকে বালিকে আলাদা করার বিলে সই করলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার মামলা শেষ হওয়ার পর সেই নথি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল-এর হাতে আসে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিষয়টি জানান রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। ফলে হাওড়ায় ২২ জানুয়ারি ও ২৭ ফেব্রুয়ারি বালিতে আলাদা ভোট করার ক্ষেত্রে আর কোন বাধা থাকল না। বালি পুরসভাকে আলাদা করে দেওয়া নিয়ে খুশি বালির বাসিন্দারা৷
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বালিকে হাওড়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্য সরকার ঘোষণা করে, বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরনিগম থেকে আলাদা করে দেওয়া হবে৷
রাজ্য সরকার কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট করতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আবেদন জানায়, কমিশন রাজ্যের আবেদনে সম্মতি জানিয়ে এই বছরের ১৯ ডিসেম্বর ভোট কলকাতা ও হাওড়ার ভোট করার জন্য প্রস্তুতিও শুরু করে | তবে রাজ্য সরকার ও কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি শুরু করে বিরোধীরা৷ রাজ্যপালও বালি পুরসভাকে আলাদা করার বিষয়ে এত দিন সম্মতি দেননি। সেই নিয়ে শাসক-বিরোধী চাপান উতর চলছিলই। যা মিটল শুক্রবার বেলায়।
অন্যদিকে, রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চ্যান্সেলর পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে সেই পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর ভাবনা চলছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সাংবিধানিক ও আইনি দিক”, ঘোষণা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, ইডি-সিবিআই-এর পর এবার ইউজিসি-কে দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।