জেলা ব্রেকিং নিউজ

তৃণমূল থেকে বহিষ্কার বৈশালী

তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হলেন বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়। এই ঘটনার পর তিনি জানান, ‘‌আমি খুব খুশি হলাম। কংগ্রেস থেকে আসা লোকেদের কথা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী চলছেন। তৃণমূলে যাঁরা আছেন, তাঁদের চেয়ে অন্য দল থেকে আসা লোকেদের বেশি গুরুত্ব দেন। ভাল হল, আমাকে বিড়ম্বনায় ফেলা হল না। বলেছিলাম, দলের মধ্যে উইপোকারা পুরনো কর্মীদের কাজ করতে দেয় না, তাদের সরিয়ে দেওয়া উচিত।’‌
গত কয়েকদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করছিলেন বৈশালী। রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পরই প্রকাশ্যে দলের একাংশকে নিশানা করে মন্তব্য করেছিলেন বৈশালী। এদিন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা দিতেই ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের কাছে বৈশালী বলেন, ‘‌জেলায় অনেককেই অপমানিত হতে হচ্ছে। এভাবে অপমানিত হওয়ার পর নেতা-মন্ত্রীরা দল পর্যন্ত ছেড়ে দিচ্ছেন।’‌
দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিনি বলেন, ‘‌স্বচ্ছ ভাবমূর্তি মানুষের এখানে জায়গা নেই। নেতাদের সঙ্গে আসতে আসতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ভোটাররাও সরে যাবে। ভেতরের খবর তুলে ধরতে পারব। রাজীব বা অন্য কারও মতো ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন হল না। মানুষের জন্যে কাজ করব, মানুষের পাশে থাকব।’‌ এদিন নিজের বহিষ্কার প্রসঙ্গে বৈশালী জানান, গত পাঁচ বছরে হাওড়ায় বহু দুর্নীতি হয়েছে। রাস্তাঘাট হয়নি। আমফানের ত্রাণ নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে। দল আমাকে বহিষ্কার করলেও আমি সাধারণ মানুষের পাশেই থাকব। মানুষের হয়েই কাজ করব না।
তা হলে কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি? উত্তরে বৈশালী বলেন, ‘‌এখনও কিছু ঠিক করিনি। পরে ঠিক করব। যারা চলে যাচ্ছে, তারা দোষী হয়ে যাচ্ছে। আর যারা দুর্নীতি করেও দলে থেকে যাচ্ছেন, তারা মাথার মুকুট হয়ে থাকছে। নির্বাচনে মানুষ সব বুঝিয়ে দেবে।’‌ শুভেন্দু অধিকারীকে মীরজাফর বলা নিয়েও আপত্তি করেন বৈশালি। তাঁর অভিমত, শুভেন্দু দা দলে সম্মান পেতেন। দল ছাড়তেই বেইমান, জোচ্চোর হয়ে গেল! তারও আগে বহিরাগত ইস্যুতে তিনি বলেছিলেন, এরা হামেশাই বলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বহিরাগত। বাইরে থেকে কেউ আসলে বহিরাগত বলা হচ্ছে। ভারত একটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিবারের প্রধান।
হাওড়ার তৃণমূল নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‌যাঁরা দলে থেকে দলের দুর্নাম করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত।’‌ তৃণমূল সূত্রের খবর, এদিন দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে স্থির হয়েছে, যে নেতানেত্রীরা দলে থেকেও বিরোধীদের মতো কথা বলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।