মালদা কান্ডে আদালতে জোর ধাক্কা খেল পুলিশ। অবশেষে নির্যাতিতা দুই মহিলার জামিন মঞ্জুর করল মালদহ জেলা আদালতের সিজেএম মৃণালকান্তি মণ্ডল।
চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সোমবার মালদা আদালতে স্থানীয় থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন নির্যাতিতা দুই মহিলার আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র। অভিযুক্তদের পরিবর্তে নির্যাতিতা দুই মহিলাকে গ্রেফতারের অভিযোগে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।
প্রশ্ন উঠছে, যাঁদেরকে মারধর করা হল, তাঁরা চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা তা এখনও প্রমাণ হয়নি। এমনকী, অভিযোগপত্রে পুলিশের খাতায় ওই দুই মহিলার নামও ছিল না। অথচ তাঁদেরকে অন্যায় ভাবে জেল খাটতে হল কেন? এই প্রশ্ন তুলে বিচারকের সামনে স্থানীয় থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সোচ্চার হন আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র।
আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র আদালতে বলেন, ১৭ জুলাই নালাগোলাতে খুনের ঘটনায় সেখানকার মানুষ পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করে। পরের দিন ১৮ জুলাই পাকুয়াহাটে চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করে এলাকার একাংশ। খবর পেয়ে পুলিশ দুই নিগৃহীতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে ফাঁড়ি ভাঙচুরের মিথ্যে কেসে গ্রেফতার করে। আসলে এই দুটি ঘটনার কোনও মিল নেই। পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতেই নিগৃহীতাদেরই গ্রেফতার করে। এরপরেই জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।
নির্যাতিতাদের আইনজীবী আরও বলেন, “পুলিশের মিথ্যে মামলার প্রতিবাদে আমরা হাইকোর্টে যাচ্ছি। মানবাধিকার কমিশনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।”