সিবিআই আদালতেই খারিজ হয়ে গেল সিবিআইয়ের আবেদন। সারাদিন টানাপোড়েন শেষে জামিন পেলেন নারদ কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া চার হেভিওয়েট নেতা। বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানির পর ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যাকে জামিন দিলেন বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায়। এমনকী ব্যক্তিগত ৫০ হাজার টাকার বন্ডের বিনিময়ে জামিন পেলেন তাঁরা।
তবে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতে যেতে পারে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। সোমবার আদালতে গ্রাহ্য হল না সিবিআইয়ের প্রভাবশালী তত্ত্ব। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি ছিল, নারদ মামলায় যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনেই প্রভাবশালী। তাঁরা বাইরে থাকলে প্রয়োজনীয় নথি, প্রমাণ বা সাক্ষ্যকে নষ্ট ও প্রবাবিত করতে পারেন।
কিন্তু আদালত প্রশ্ন তুলে দেয়, চার্জশিট যখন তৈরি হয়ে গিয়েছে তাহলে গ্রেপ্তার কেন? বিপাকে পড়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী। এদিন সাত সকালে রাজ্যের দুই মন্ত্রী এক বিধায়ক–সহ মোট চার হেভিওয়েটের বাড়িতে হাজির হন আধিকারিকরা।তাঁদের তুলে আনা হয় নিজাম প্যালেসে। পরে বেলা ১১টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়ে দেয়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রায় দেড় ঘণ্টা শুনানির পর আবার বেশকিছু নথি স্বচক্ষে দেখতে চান বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায়। নথি নিয়ে তাঁর চেম্বারে হাজির হন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সেই নথি পরীক্ষার পর রায় দিলেন বিচারক।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা চলে যান নিজাম প্যালেসে। তৃণমূলের কর্মী–সমর্থকরা ইট ছুড়তে থাকেন নিজাম প্যালেসে। রাজভবন ঘেরাও হয়। দীর্ঘ ছ’ঘণ্টা সেখানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালীনও নিজাম প্যালেসে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুনানি শেষে সেখান থেকে সোজা নবান্ন রওনা দেন তিনি।
