নারদ কাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিল আদালত। আর সঙ্গে সঙ্গে মুখ পুড়ল সিবিআইয়ের। সিবিআইয়ের পক্ষের আইনজীবী, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা মামলাটি ভিনরাজ্যে সরানো এবং জামিনের বিপক্ষে একাধিক যুক্তি দিয়েছেন। কিন্তু এদিন প্রধান বিচারপতি তুষার মেহেতাকে জানিয়ে দেন, অভিযুক্তদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া যেতে পারে। এরপরই, ফিরহাদ হাকিমদের জামিন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল হয়ে উঠেছে বলে মনে করছিল আইনজীবী মহল। বাস্তবে সেটাই সত্যিই হল।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা কয়েকটি শর্তের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের প্রস্তাব রাখছি। চূড়ান্ত রায়ে তা ঠিক হবে। আমরা আলোচনা করেছি। রাজ্যে দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। আপনি (তুষার মেহতা) কী বলছেন?’ তবে জামিনে মুক্ত হলেও মিডিয়ার মুখোমুখি হওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত প্রশ্ন তুলেছিল, ধৃত চারজনই প্রভাবশালী ছিলেন। এতদিন এঁদের গ্রেফতার করেননি কেন? এতদিন পর চার্জশিট জমা দেওয়ার পর গ্রেফতার কেন?
যদিও অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের বিরোধিতা করেন মেহতা। তিনি জানান, চারজনই প্রভাবশালী এবং আবারও জনগণের মধ্যে ভাবাবেগ তৈরি করতে পারেন। আর অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হলে পুরো মামলাটি ‘ঠান্ডাঘরে’ চলে যাবে। সেই সওয়ালের প্রত্যুত্তরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘না, আমরা মূল মামলা শুনব। এটা ঠান্ডা ঘরে চলে যাবে না।’