সব লড়াই শেষ। থেমে গেল প্রায় এক মাসের যুদ্ধ। শুক্রবার মধ্যরাতে এসএসকেএম হাসপাতালেই প্রয়াত হলেন সমর বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯২ বছরে জীবনের দৌড় থেমে গেল মোহনবাগান রত্নের। ময়দানে তিনি পরিচিত ছিলেন বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় হিসাবে।
জুলাই মাসের ২৭ তারিখ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সমর বন্দ্যোপাধ্যায়। সেসময়ই তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল বাঙ্গুর হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে ফের ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে। ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থান অবনতি হচ্ছিল। অ্যালজাইমারস, উচ্চ রক্তচাপ এবং অ্যাজোটেমিয়া সহ বিভিন্ন সমস্যা ছিল তাঁর। সূত্রের খবর, তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ডও। কিন্তু টানা ২৪ দিন লড়াই করার পর অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রাক্তন ফুটবলার সমর বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত সাত বছর মোহনবাগান ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন বদ্রু। ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। ফুটবলার ও কোচ হিসেবে সন্তোষ ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব ছিল তাঁরই। সবুজ মেরুন জার্সিতে ১০টি ট্রফি জিতেছেন। মোহনবাগান দলের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া, হংকং এবং সিঙ্গাপুরে বিদেশ সফরেও গিয়েছিলেন বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৯ সালে মোহনবাগান রত্ন পান তিনি। ভারতীয় দলের জার্সি গায়েও অসংখ্য কৃতিত্ব রয়েছে বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ কলকাতা ময়দান। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনি গোস্বামী, সুভাষ ভৌমিক, সুরজিৎ সেনগুপ্তর পর বাংলার ফুটবল হারাল আরও এক কিংবদন্তিকে।