পশ্চিমবঙ্গে ‘৩৫৬’ ধারা প্রয়োগের ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হলে সংবিধান বর্ণিত ব্যবস্থা অবলম্বন করেই ভোটগ্রহণ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান মানেন না, অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। আসানসোলের বিজেপি সাংসদের মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। তাঁর কথায় আমল দিতে নারাজ সৌগত রায়। বাবুল সংবিধান সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে পালটা তোপ তৃণমূল সাংসদের।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্রমশ উত্তাপ বাড়ছে। রাজ্যে ‘খুন–বোমার রাজনীতি’ হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে বিজেপি। এমনকী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে এসে এই ইস্যুতে সরব হন। বাবুল বলেন, ‘রাজ্যে হিংসার রাজনীতি চলছে। তাকে মোকাবিলা করার ব্যবস্থা সংবিধানে রয়েছে। হিংস্র সরকার মোকাবিলার দাওয়াই রয়েছে, সে রাস্তায় হাঁটা অসম্ভব নয়।’
নির্বাচনের দামামা বাজতে না বাজতেই এবার সরব হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি জানান, বাংলার মানুষ আমাদের পাশে রয়েছে। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও ক্ষমতায় আসেন তবে ধরে নিতে হবে তা পুলিশ, প্রশাসনের উপর প্রভাব খাটিয়েই হয়েছে। আমরা আশাবাদী কমপক্ষে ২০০ আসন পেয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধানে বিশ্বাসী নন। মোকাবিলার রাস্তা আমাদের কাছে পরিষ্কার। দিদি যদি ভেবে থাকে কেন্দ্রে দুর্বল সরকার রয়েছে তাহলে সেটা হবে তাঁর সবথেকে ভুল।
পাল্টা তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘বাবুল সুপ্রিয়র মন্তব্য আমি শুনেছি। তিনি ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে সংবিধানে ব্যবস্থা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা এমন জায়গায় পৌঁছয়নি যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে হবে। উত্তরপ্রদেশে যখন একজন অপরাধী আটজন পুলিশকে গুলি করে মারে, তখন আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে না। ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়, তখন আইনশৃঙ্খলা ভাঙে না? তুফানগঞ্জে বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বিজেপি সমর্থকের মৃত্যু হলে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার অভিযোগ করা হয়। ৩৫৬ কার্যকর করতে হলে আগে উত্তরপ্রদেসে করা উচিত।’