অবশেষে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৪৮জন সহপাঠীদের গ্রুপ ক্যাপ্টেন হয়ে প্রায় ১,১০০ কিলোমিটার কখনো বাস, ট্রেন, আবার কখনো পায়ে হেঁটে নিজেদের খরচায় হাঙ্গেরি সীমান্তে পৌঁছয় বসিরহাটের আজহার। কিন্তু এই পথ অতিক্রম করতে গিয়ে ইউক্রেন রাশিয়ান সেনার হেনস্তার মুখে পড়তে হয় ভারতীয় পড়ুয়াদের। বিভিন্ন সময়ে তাদের একদিকে উপযুক্ত নথিপত্র চাওয়া হয়, অন্যদিকে তাদেরকে ঘন্টার পর ঘন্টা স্টেশনে বসে থাকতে হয়। এই পথ ছিল ভয়ংকর। যে কোনো সময় চলার পথে মিসাইল হামলা গুলিবর্ষণের মধ্যে পড়তে হত, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৪৮ জন পড়ুয়া নিয়ে জীবনের ঝুঁকির পথ অতিক্রম করে বসিরহাটের আজহার।
আজহার সৈনিক পরিবারের ছেলে তার বাবা আমিরুল ইসলাম চার বছর আগে মারা যায়, মা অলিভিয়া ইসলাম। তাদের পরিবারের একমাত্র সন্তান আজহার। যেহেতু সৈনিক পরিবারের ছেলে তাই সামনে থেকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন হয়ে সহপাঠীদের হাঙ্গেরি সীমান্তে পৌঁছে দেয় সে, তারপর অপারেশন গঙ্গা। দিল্লি তারপর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিবারকে তাদের সন্তান ফিরিয়ে দেয়। আজহার সোমবার গভীর রাত্রে বাদুড়িয়ার বাড়িতে এসে পৌঁছায়, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল সৈনিক পরিবার।
গ্রামবাসীদের যুদ্ধের ভয়ংকর স্মৃতি শেয়ার করতেই একদিকে পরিবার গর্বিত হচ্ছে, অন্যদিকে গ্রামের মানুষরা তাকে বাহবা দিচ্ছেন।
এদিকে যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের কলেজে পাঠরত সন্তানদের নিয়ে যখন চিন্তিত তখন অন্য বার্তা দিলেন আজহার এর মা অলিভিয়া ইসলাম মন্ডল। তিনি বলেন, যুদ্ধ তো ওর রক্তেই আছে, আমি ওই বিষয় নিয়ে ভাবিনি। কারন ওর বাবা কাকারা প্রাক্তন সৈনিক, ভেবেছিলাম ওর কেরিয়ার নিয়ে। তিনিও মুখ্যমন্ত্রী কাছে কাতর আবেদন জানাবেন।