রাজ্য লিড নিউজ

নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ, রথীনদের ভূমিকা নিয়ে বললেন অয়ন শীল

মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে ‘মাস্টারমাইন্ড’ অয়ন শীলকে ফের নগর দায়রা আদালতে পেশ করা হল। এদিনই তাঁর মামলা শুনানির জন্য আদালতে উঠবে বলেই জানা গিয়েছে। তার আগে গাড়ি থেকে নামিয়ে অয়নকে হেফাজত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ফিরহাদ হাকিম, রথীন ঘোষদের ভূমিকা কী? আপনি এঁদের চেনেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এগুলো আদালতে বিচারাধীন বিষয়। এ নিয়ে এখন কিছু বলা যাবে না।’।

প্রসঙ্গত, পুর নিয়োগ দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে আসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর। ইডি আদালতে দাবি করেছিল, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উদ্ধার হওয়া নথি দেখে জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। এমনকী তদন্তে নেমে অয়ন শীলের বিপুল সম্পত্তির হদিশও মিলেছিল। সেইসঙ্গে অভিযুক্ত এই প্রোমোটার অয়ন শীলের নামে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক লকারেরও সন্ধান মেলে। এরপরই ইডি-র হাতে উঠে এসেছিল চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য।

জানা গিয়েছে, অয়ন শীল এক হাজার জন চাকরিপ্রার্থীর থেকে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিল যা দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আধিকারিকদের। তারপরেই পৃথকভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে গত ৭ জুন পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে রাজ্যের ১৪ টি পুরসভা সহ ২০ টি জায়গায় চিরুনি তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। বিধাননগরের পুর দফতরের নগরায়ন দফতরেও চলে তল্লাশি।

তদন্তকারীদের অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতির যাবতীয় নথি লুকিয়ে রাখা ছিল অয়ন শীলের বাড়িতেই। অয়নের মাধ্যমেই বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেন করা হয়েছে। একজন প্রোমোটারের বাড়ি থেকে কীভাবে নিয়োগের নথি উদ্ধার হল, তা নিয়েই একাধিক প্রশ্ন ওঠে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিস থেকে ২০১৪-১৫ সালে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত ৪০০-রও বেশি ওএমআর শিট ও পাওয়া গিয়েছে।

ইডি-র দাবি, রাজ্যের ৬০ পুরসভা মিলিয়ে পাঁচ হাজার চাকরি বিক্রি হয়েছে। আর তার বিনিময়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। পুরসভার গাড়ির চালক,টাইপিস্ট,ক্লার্ক,গ্রুপ ডি, সাফাইকর্মী একএকটা পদের জন্য এক একরকম দরে বিক্রি হয়েছে চাকরি।