রাজ্য লিড নিউজ

সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা, বাধা পেয়ে ব্যবসায়ীর গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপ!

আবারও খাস কলকাতায় ঘটে গেল দুঃসাহসিক ঘটনা। মুকুন্দপুরে গ্রাহক পরিচয়ে সোনার দোকানে প্রবেশ করে লুটপাটের চেষ্টা করল দুষ্কৃতিরা। যদিও তাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে যাদবপুর থানার পুলিশ।

রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ মুকুন্দপুরে একটি সোনার দোকানে লুট করার চেষ্টা করে একদল দুষ্কৃতি। জানা গিয়েছে, ক্রেতা পরিচয়ে দোকানে প্রবেশ করেছিল তাঁরা। তারপর শুরু হয় লুটপাট। ওই সময় দোকানেই ছিলেন দোকানের ব্যবসায়ী সঞ্জয় কুমার সরকার। তিনি বাধা দিতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন দুষ্কৃতিরা। ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলায় এলোপাথারি কোপ চালায়। তাঁর আর্তনাদেই দোকানের দিকে ছুটে যান স্থানীয়রা। দুই দুষ্কৃতি পালানোর চেষ্টা করেও পারেনি। তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। দোকানের ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দোকান মালিককে উদ্ধার করেন তাঁরা। তারপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

স্থানীয় এক মহিলা জানিয়েছেন, “আমরা কুড়ি বছর এই এলাকায় রয়েছি। খুব শান্ত এলাকা। আগে এমন ঘটনার অভিজ্ঞতা নেই। সকালে সঞ্জয়দার চিৎকার শুনে আমরা বেরিয়ে এসেছিলাম। তারপর দেখি ওঁর গলা দিয়ে রক্ত পড়ছে। ওঁর পোশাক দিয়েই সেই রক্ত চেপে ধরে হাসপাতালে পাঠালাম। দু’জনকে এলাকার মানুষই ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।”

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় যাদবপুর থানার পুলিশ। দুই দুষ্কৃতিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম দীপঙ্কর পাল ও সাগর। দুজনেই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। একজনের বাড়ি ত্রিপুরা, অন্যজনের মহারাষ্ট্র। দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুলিশের ডিসি (পূর্ব ডিভিশন)। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতার কসবায় নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করা হয় কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে। ঘটনার পর থেকে শহরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবারের ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্কিত এলাকাবাসী।