মানচিত্র বিতর্কে এমনিতেই বিপাকে ওলির সরকার। গদি নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই প্রকৃতির রোষে আরও বেসামাল হয়ে পড়ল নেপাল। কারণ প্রবল বৃষ্টিতে নেপালের ১৯টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার জেরে প্রচুর জায়গায় ধসও নেমেছে। এই ভূমিধসের জেরে কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। নিখোঁজ প্রায় ৪১ জন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত তিনদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে নেপালের ১৯ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রচুর জায়গায় ধসও নেমেছে। প্রশাসন উদ্ধার কাজ চালানোর চেষ্টা করলেও প্রতিকূল পরিবেশের জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। নাগাড়ে বৃষ্টির ফলে হওয়া ভূমিধসের কারণে গত চারদিনে কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে কাঠমান্ডু পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, কাসকি জেলায় তিনটি ভিন্ন ভূমিধসে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। কাসকির স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোররাত আড়াইটে নাগাদ কাসকির পোখারা শহরে ভূমিধসে একটা গোটা বাড়ি ধসে পড়ে। তিন শিশু–সহ একই পরিবারের পাঁচজন ধ্বংস্তূপের নীচে চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন। এরকম একাধিক কাণ্ড ঘটতে শুরু করেছে। ফলে মৃত্যুর সংখ্যার শেষ কোথায় কেউ আন্দাজ করতে পারছেন না।
লামজুং জেলাতেও ভূমিধসে একই পরিবারের তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ বিস্সাহর পুরসভা এলাকায় ভূমিধসে তাঁরা চাপা পড়েছিলেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কয়েক হাজার বাসিন্দা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তর–পশ্চিমের জেলা মিয়াগদিতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ জনেরও বেশি নিখোঁজ। ভারী বৃষ্টির কারণে সেখানে বেশ কয়েকটি বাড়িও ধসে পড়েছে।