অন্যের ভাগ্য নির্ধারণ করেন তিনি। অথচ তাঁর ভাগ্যেই আগুন ধেয়ে আসছে তা একবারের জন্যই টের পাননি তিনি। আর তার জেরে অগ্নিদগ্ধ হয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন জ্যোতিষ সম্রাট জয়ন্ত শাস্ত্রী। টেলিভিশনের পর্দা থেকে খবরের কাগজের বিজ্ঞাপনে প্রায়ই দেখা যেত তাঁকে। রবিবাসরীয় সকালে তাঁর বাড়িতে আগুন লাগে।
ঘটনাস্থল থেকে তাঁর পুড়ে যাওয়া দগদগে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের এক হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগুনে শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে মৃত্যু হয়েছে জ্যোতিষীর। কেষ্টপুরের বারোয়ারি তলায় তাঁর তিনতলা বাড়ির বারান্দা থেকে প্রথমে ধোঁয়া বেরতে দেখেন প্রতিবেশীরা। ওই বাড়ির দোতলায় থাকতেন তিনি। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে প্রতিবেশীরা নীচ থেকে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বাড়ির সমস্ত দরজায় তালা লাগানো থাকায় আগুন লাগাতে ব্যর্থ হন তাঁরা। দমকল এবং কেষ্টপুর থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা।
আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। প্রথমে দমকলকে বেগ পেতে হয় আগুন নেভাতে। আগুন নেভাতে প্রয়োজন হয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। এদিন আগুন দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়। দমকল কর্মীরা ওই বাড়িতে প্রবেশ করে উদ্ধার করে জ্যোতিষ সম্রাটের জ্বলন্ত দেহ। দরজা ভেঙে জ্যোতিষীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে ধোঁয়া এবং আগুনের তাপে অচৈতন্য হয়ে পড়েছেন জ্যোতিষী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা পুলিশকে জানান, অগ্নিদগ্ধ হয়ে নয়, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই জ্যোতিষীর।
পুলিশ এবং দমকল সূত্রে খবর, গভীর রাত পর্যন্ত সিগারেট খেয়েছেন জ্যোতিষী। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেই সিগারেট থেকেই তাঁর সোফায় আগুন লাগতে পারে। সেই আগুনই ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। তখন সম্ভবত জ্যোতিষী ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঘুম ভাঙার পর আগুন নেভাতে গিয়ে তাঁর হাত-পা পুড়তে পারে। আগুনের ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হতে পারে তাঁর।