লাইফস্টাইল

ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে…

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। পৃথিবীতে ভালোবাসা দিবসটিকে নিয়ে রয়েছে নানান প্রথা। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের সেই আত্মত্যাগের কাহিনীকে ঘিরে অনেক দেশে রয়েছে হাজারও প্রথা, কুসংস্কার। ভালোবসার জন্য শুধু ভ্যালেন্টাইন নয়, যুগে যুগে পৃথিবীর বহু দেশে অসংখ্য মানুষ জীবন দিয়েছেন। ভ্যালেন্টাইন’স ডে উদযাপন শুরু হয় রোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকে। প্রাচীন রোমে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল রোমান দেবদেবীদের রানী জুনোর সম্মানে পবিত্র দিন। রোমানরা তাকে নারী ও বিবাহের দেবী বলে বিশ্বাস করত। দিনটি অনুসরণ করে পরের দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি পালিত হতো লুপারকেলিয়া উৎপত্তি বিশেষ ভোজ। সে সময় তরুণ এবং তরুণীদের জীবনযাপন ব্যবস্থা ছিল সম্পূর্ণ পৃথক। কিন্তু তরুণদের জন্য ‘দৃষ্টি আকর্ষন’ নামে একটি ভিন্নধর্মী প্রথা ছিল ‘লটারি’। লুপারকেলিয়া উৎপত্তি সন্ধ্যায় কাগজের টুকরায় তরুণীদের নাম লিখে একটি পাত্রে জমা করা হত। সেখান থেকে কজন তরুণ একটি করে কাগজের টুকরা তুলত এবং কাগজের টুকরায় যে তরুণীর নাম লেখা থাকত ওই উৎসবের সময় পর্যন্ত সে তাকে তার সঙ্গী হিসেবে পেত। পরে কখনো কখনো ওই দু’জনের জুটি পুরো বছর ধরে টিকে থাকত এবং প্রায়শ তারা একে অপরের প্রেমে পড়ত এবং সব শেষে তা বিয়ে পর্যন্ত গড়াত।

আজকের দিনে এসেও প্রিয়জনের ভালোবাসা আর প্রেমের চাদরে ঢেকে থাকবে বলে কত শত পরিকল্পনা। ভালোবাসা প্রতিদিনের-চিরদিনের। ভালোবাসা ছাড়া বেঁচে থাকা যায় না। এটা ঠিক, ভালোবাসা দিবস একটা বিশেষ দিন। আমরা যেদিনটাতে অনেকেই ভালোবাসা প্রকাশের উৎসাহ পাই। আবার ভালোবাসা দিবসকে ভালোবাসা প্রকাশের দিনও বলা যায়। অনেকেই বিভিন্ন সময়ে ভালোবাসা প্রকাশ করতে না পারলেও বিশেষ এই দিনে প্রকাশ করতে পারেন।